অভিরূপ দাস: নিষিদ্ধ বাজি ফেটে আহত হলেন সরকারি হাসপাতালের ডেপুটি সুপার। কলকাতা শহরের এ ঘটনায় আলোড়ন ছড়িয়েছে চর্তুদিকে।
পরিবেশ বান্ধব ব্যতীত অন্য আতসবাজি নয়। নির্দেশিকা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। তাতে সিলমোহর পড়েছিল কলকাতা হাই কোর্টেরও। শুধু তাই নয়, আতসবাজি (Green Crackers) ফাটানোর জন্য নির্দিষ্ট সময়ও ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল। কালীপুজোর দিন রাত আটটা থেকে দশটার মধ্যেই পরিবেশ বান্ধব বাজি পোড়ানো যাবে। কিন্তু বাস্তবে অনেক জায়গাতেই লঙ্ঘিত হয়েছে নিয়ম। দক্ষিণ কলকাতার গড়ফা এলাকায় এমনই এক ঘটনার জেরে হাত ও পায়ে চোট পেলেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের ডেপুটি সুপার ডা. দ্বৈপায়ন বিশ্বাস।
দক্ষিণ কলকাতার গড়ফা এলাকায় বাড়ি তাঁর। গত শুক্রবার পোষ্যকে নিয়ে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন তিনি। বাড়ির অদূরেই অভিজাত এক আবাসনের সামনে পোষ্যকে হাঁটাচ্ছিলেন। ডা. দ্বৈপায়ন বিশ্বাসের কথায়, আচমকাই পরপর চার পাঁচটা নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটে। ভয় পেয়ে ছুটতে শুরু করে তাঁর পোষ্য। বগলস ধরতে দৌড়তে শুরু করেন চিকিৎসকও। বাইপাস থেকে নামার একটি সিড়ি ছিল। সেখানেই হুমড়ি খেয়ে পরেন তিনি। চোট লাগে কপালে, কব্জিতে, নাকের তলায়। দিনের আলোয় নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটিয়ে উল্লাস! এহেন ঘটনায় বিস্মিত ডেপুটি সুপার। তিনি জানিয়েছেন, এত জনসচেতনতা মূলক প্রচারের পরেও যদি এমন দৌরাত্ম্য দেখা যায়, সেটা অনভিপ্রেত।
উল্লেখ্য, রাজ্যের তরফ থেকে বলা হয়েছে, শুধু দীপাবলি নয়, বড়দিন এবং বর্ষবরণেও কেবলমাত্র পরিবেশবান্ধব আতসবাজিই বিক্রি করা হবে। ক্রিসমাস ও বর্ষশেষের রাতে ১১.৫৫ মিনিট থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত পরিবেশবান্ধব আতসবাজি ফাটানো যাবে বলে জানানো হয়েছে। সামনে ছট পুজোতেও কেবল ২ ঘণ্টাই এই বাজি ফাটানো যাবে। ডেপুটি সুপারের দাবি, শব্দবাজি ফাটালে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নিক। নয়তো হুজ্জুতি বন্ধ হবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.