সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শহরে ফের মৃত্যু ডেঙ্গু আক্রান্তের৷ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে প্রাণ হারান বছর ৩৬-এর ওই ব্যক্তি৷ হুগলির ভদ্রেশ্বরের বাসিন্দা অমর কুমার সাউ বেশ কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন৷ শুক্রবার গভীর রাতে মারা যান তিনি৷ শনিবার সকালে তাঁর মরদেহ পৌঁছয় ভদ্রেশ্বরে৷
পুজোর আগে থেকে রাতে জ্বর আসছিল, আবার কমেও যাচ্ছিল অমর কুমার সাউয়ের৷ প্রথমে সেভাবে গুরুত্ব দেননি তিনি৷ শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়ায় প্রথমে ভদ্রেশ্বরের এক চিকিৎসকের কাছে যান অমর৷ ওষুধ খেয়েও কোনও লাভ হয়নি৷ বরং জ্বর আরও বড়সড় আকার নেয়৷ এরপর রক্ত পরীক্ষা করান তিনি৷ রিপোর্টে মেলে ডেঙ্গুর জীবাণু৷ এরপর ওই চিকিৎসকই চিকিৎসা করছিলেন তাঁর৷ বুধবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় অমরের৷ ভদ্রেশ্বর থেকে তাঁকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়৷ শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাও শুরু হয়৷ শুক্রবার সকালে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়৷ বিকেলের পরই মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর হয় তাঁর৷ গভীর রাতে মারা যান অমর কুমার সাউ৷ তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গুর কথা উল্লেখ রয়েছে৷ শনিবার সকালে কলকাতা থেকে তাঁর মরদেহ পৌঁছয় ভদ্রেশ্বরের বাড়িতে৷
রাজ্যে ক্রমশই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা৷ একের পর এক ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুতে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ৷ ইতিমধ্যে এই নিয়ে শহরে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হল৷ এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় পরিস্মিতা ঘোষ নামে এক ছাত্রীর৷ তার আগে বিশরপাড়ার বাসিন্দা মানস দাস নামে এক যুবকের মৃত্যু হয় দক্ষিণ কলকাতার নার্সিংহোমে। কিছুদিন আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে পার্ক স্ট্রিটের এক কিশোরের মৃত্যু হয়। উল্টোডাঙায় মারা গিয়েছিলেন এক গৃহবধূ। ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে একবালপুরেও। সেখানকার একটি নার্সিংহোমে মারা গিয়েছেন নূরজাহান খাতুন নামে এক মহিলা। খিদিরপুরের ওয়াটগঞ্জে সপরিবারে ভাড়া থাকতেন তিনি। এরপর বাগুইআটিতে বছর দশেকের এক শিশুও ডেঙ্গুর থাবায় মারা যায়৷ যদিও আতঙ্কের কোনও কারণ নেই বলেই জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর৷ ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হলে ডেঙ্গু রোগী সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন বলেও দাবি স্বাস্থ্য আধিকারিকদের৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.