অভিরূপ দাস: ফের রাজ্যে ডেঙ্গু আতঙ্ক। এবার এর শিকার ১২ বছরের এক কিশোর। নাম মহম্মদ আহমেদ। তার বাড়ি কলকাতার পার্ক স্ট্রিট এলাকায়। শনিবার সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে হাসপাতালে মারা যায় সে।
পার্ক স্ট্রিটের শরিফ লেনে থাকত মহম্মদ আহমেদ। তার বাবার নাম মহম্মদ আদিল। গত ১৩ সেপ্টেম্বর জ্বর নিয়ে জিডি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভরতি হয় আহমেদ। হাসপাতালেরই চিকিৎসক শুভাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে ছিল সে। শুক্রবার রাত থেকে পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে তার। শনিবার সকাল ৬টা ৩৫ মিনিট নাগাদ তার মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে আহমেদের। ডেথ সার্টিফিকেটেও তেমনই উল্লেখ রয়েছে।
[ নারদ কাণ্ডে নয়া মোড়, কন্ঠস্বরের নমুনা জমা দিলেন মুকুল রায়-সহ ৫ অভিযুক্ত ]
তবে এবছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শহরে মৃত্যুর সংখ্যা এই প্রথম নয়। গত বৃহস্পতিবার ভোরে একবালপুরের নার্সিংহোমে মারা নূরজাহান খাতুন নামে এক মহিলা। কলকাতায় খিদিরপুরের ওয়াটগঞ্জে একটি বাড়িতে সপরিবারে ভাড়া থাকতেন চল্লিশোর্ধ্ব ওই মহিলা। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, সপ্তাহ খানেক ধরে জ্বরে ভুগছিলেন নূরজাহান। শারীরিক অবস্থায় অবনতি হওয়ায় গত মঙ্গলবার তাঁকে ভরতি করা হয় একবালপুর নার্সিংহোমে। গত বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে পাঁচটা নাগাদ মারা যান তিনি।
দিন দুই আগে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে উল্টোডাঙায় এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়। মৃতার নাম কৃষ্ণা হাজরা। স্বামী ও পুত্রকে নিয়ে উল্টোডাঙায় মুরারিপুকুরে সরকারি আবাসনে থাকতেন তিনি। পরিবারের লোকেরা জানান, ২৩ আগস্ট জ্বর হয় কৃষ্ণাদেবীর। শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে। তড়িঘড়ি তাঁকে ভরতি করা হয় ফুলবাগানের ডিভাইন নার্সিংহোমে। সোমবার মারা যান ওই গৃহবধূ। পরিবারের লোকেরা জানান, ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ ডেঙ্গু শক সিনড্রোম বলে উল্লেখ করেন চিকিৎসকরা। এদিকে ডেঙ্গুর ফলে একের পর এক মৃত্যু হচ্ছে শহরে। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বহু এলাকায়। শুরু হয়েছে সতর্কতা অভিযান।
[ জনসংযোগ বাড়াতে এবার ফেসবুকে ফর্ম বিলি করছে তৃণমূল ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.