রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট হয়েছে। বাংলায় গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে রক্তের হোলি খেলা হয়েছে।’ প্রচারে এসে এমনই মন্তব্য করে রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণের নিশানা করলেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
মহেশতলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়েছিলেন কৈলাস। দলীয় প্রার্থী সুজিত ঘোষের সমর্থনে মহেশতলার ময়নাগড় থেকে জিনজিরা বাজার পর্যন্ত রোড-শো করেন তিনি। হুডখোলা জিপে বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে প্রচারে ছিলেন মুকুল রায়, দেবশ্রী চৌধুরী, অভিজিৎ দাস-সহ রাজ্য নেতারা। একটি সভাও হয়। সেই সভাতেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার অভিযোগ তুলে শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিজেপি নেতারা। বাংলার মানুষের পাশে পদ্মফুল আছে বলে মন্তব্য করে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র দাবি, ২০২১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। উপনির্বাচনেও বিজেপি জিতবে। এদিন মহেশতলা উপনির্বাচন নিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার, সমীরণ সাহা। আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ও মহেশতলা থানার ওসিকে বদলের দাবি জানায় বিজেপি৷
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অনুমান, মহেশতলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রচারের শুরুতেই পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে শাসক দলের বিরুদ্ধে লাগাতার আওয়াজ তোলার কৌশল নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব৷ রাজ্য পঞ্চায়েত ভোটে নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে এই মুহূর্তে বেশ আত্মবিশ্বাসী গেরুয়া শিবির৷ ফলে, সময় নষ্ট না করে এখন থেকেই ২০১৯-এর লক্ষ্যে লড়াইয়ে নামার রণকৌশল ছকে ফেলেছে গেরুয়া শিরিব৷ সেই লক্ষ্য পূরণের তাগিদেই সামান্য উপনির্বাচনের লড়াইয়েও কেন্দ্রীয় নেতাকে দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লাগাতার প্রচার চালানোর চেষ্টা চলছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.