রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও সুরজিৎ দেব: ‘সিপিএমের সন্ত্রাসের রাজত্বের অনুকরণ করছে তৃণমূল। বাংলায় এখন সন্ত্রাসের রাজত্ব চলছে। লুঠ হচ্ছে গণতন্ত্র।’ এভাবেই রাজ্যের শাসকদল ও মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। মঙ্গলবার রাজ্যে ভোট প্রচারে এসেছিলেন তিনি। এদিন প্রথমে দক্ষিণ কলকাতা, মথুরাপুর ও উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে তিনটি সভা করেন তিনি।
মঙ্গলবার প্রথমে দলীয় প্রার্থী চন্দ্র বসুর সমর্থনে দক্ষিণ কলকাতায় লেক মার্কেটের সামনে নির্বাচনী সভা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। মথুরাপুরের কাকদ্বীপে দ্বিতীয় সভাটি করেন সেখানকার দলীয় প্রার্থী শ্যামাপ্রসাদ হালদারের সমর্থনে। রাতে উত্তর কলকাতা কেন্দ্রের প্রার্থী রাহুল সিনহার সমর্থনে আরেকটি সভা করেন। পঞ্চায়েত ভোটেই শুধু নয়, সোমবার বারাকপুরে লোকসভা ভোটেও তৃণমূল কংগ্রেস সন্ত্রাস চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন নির্মলা সীতারমণ। রাজ্যে সিন্ডিকেটের বাড়বাড়ন্তের অভিযোগেও সরব হন তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, ‘তৃণমূলের সিন্ডিকেট মোর্চার উপর নয়, এবার লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির উপরই ভরসা করছেন বাংলার মানুষ। মোদিজিই বাংলার ভরসা-আশা।’ ফণী ঝড় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। তমলুকের জনসভা থেকে নরেন্দ্র মোদি অভিযোগ করেছেন, ফণী-র মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফোন করা সত্ত্বেও তিনি ফোন ধরেননি। প্রধানমন্ত্রীর সুরেই এদিন ফণী প্রসঙ্গে নির্মলা সীতারমণের বক্তব্য, ‘ব্যক্তি মোদি নন। প্রধানমন্ত্রী হিসাবেই ফোন করেছিলেন মোদি। প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারকে সম্মান দেওয়া উচিত। মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা রাজনীতি করছেন।’
প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেন, ‘মোদিজিকে ‘এক্সপায়ারি প্রধানমন্ত্রী’ বলে দিদি বলেছেন নতুন যিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন তাঁকেই নাকি সবকিছু জানাবেন, কিন্তু নতুন প্রধানমন্ত্রী তো নরেন্দ্র মোদিই হবেন, তখন কী হবে? ভোটের পর মানুষ দেখবেন মোদিজিই আবার প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসবেন।” কেন্দ্রীয় প্রকল্পকে রাজ্য সরকার নিজেদের নামে চালাচ্ছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সীতারমণের কটাক্ষ, “আপনি মঞ্চে স্তোত্রপাঠ করেন, অথচ জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে আতঙ্কে থাকেন, বাংলার মানুষকে সরস্বতী পুজো করতে দেন না। এসবেরই জবাব এবার ভোটে মানুষ আপনাকে দেবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.