অর্ণব আইচ: শহরের একটি আবাসন থেকে জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতেরা আবার সম্পর্কে ভাই। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাঁদের বোনকেও মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে খিদিরপুরে।
একজন বাড়ি বাড়ি দুধ বিক্রি করতেন, আর একজন সরকারি চাকুরে। খিদিরপুরের কার্ল মার্কস সরণির এক বহুতলে থাকতেন ত্রিলোকীপ্রসাদ গুপ্তা ও ভোলাপ্রসাদ গুপ্তা। তাঁদের এক বোনও ছিল, তিনি ভাইয়ের সঙ্গেই থাকতেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ত্রিলোকীপ্রসাদ ও ভোলাপ্রসাদের পাড়ায় একেবারেই মেলামেশা ছিল না। তবে তাঁদের বোনের সঙ্গে মাঝেমধ্যে পড়শিদের কথাবার্তা হত। রোজ সকালে দুই ভাই যে যাঁর কাজে বেরিয়ে যেতেন। বাড়িতে একাই থাকতেন ওই মহিলা। শারীরিকভাবে খুব একটা সুস্থ ছিলেন না তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গত বুধবারের পর থেকে দুই ভাই ও বোনকে বাড়ির বাইরে দেখা যায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে কেউ তেমন মাথা ঘামাননি।
শুক্রবার সকালে কার্ল মার্কস সরণিতে ওই আবাসন থেকে দুর্গন্ধ পান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় থানায়। ঘরের দরজা ভেঙে ত্রিলোকীপ্রসাদ গুপ্তা ও ভোলা গুপ্তার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, পাশের ঘরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পড়েছিলেন তাঁদের বোন। এতটাই অসুস্থ ছিলেন যে, কথা বলার মতো অবস্থাতেও ছিলেন না। তড়িঘড়ি ওই মহিলাকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
কিন্তু কীভাবে বন্ধ ঘরে মারা গেলেন ওই দুই ভাই তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশের বক্তব্য, ঘটনার সময়ে মৃতদের বোন ছাড়া আর কেউ বাড়িতে ছিলেন না। কিন্তু তিনিও মারা গিয়েছেন। তাই এখনও স্পষ্ট করে কিছু মৃত্যুর কারণ নিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে দরজা-জানলা বন্ধ থাকায় দমবন্ধ হওয়ায় দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.