সুব্রত বিশ্বাস: রাজ্যের তরফে কোনও আবেদন না আসায় পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে লোকাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত ঝুলে রইল। তবে রেল বোর্ড দূরপাল্লার ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য রাজ্যের সঙ্গে কথা বলার জন্য জেনারেল ম্যানেজারদের নির্দেশ দিয়েছেন। শিয়ালদহ থেকে দূরপাল্লার ট্রেনের চাহিদা এখনও তেমন না থাকলেও হাওড়ার থেকে দূরপাল্লার ট্রেনগুলির চাহিদা থাকায় পূর্ব রেল সেদিকটা নিয়ে তৎপর রয়েছে।
করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে সেপ্টেম্বরের প্রথম দিনেই লোকাল ট্রেন চালনা নিয়ে শুক্রবার শিয়ালদহে আলোচনায় বসেন ডিআরএম এসপি সিং। যদিও তিনি ‘সংবাদ প্রতিদিন’কে জানিয়েছেন, রাজ্য ও কেন্দ্রের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চলবে না। তবে লোকাল ট্রেন চালনো শুরু হলে বারো বগির ট্রেনই চলবে। কত শতাংশ ট্রেন প্রথমে চলবে তা নির্ধারণ করে দেবে রাজ্য সরকার। রাজ্য যেভাবে সংখ্যাটা বেঁধে দেবে সেই পরিসংখ্যান মেনে চলবে ট্রেন। তবে তা পঞ্চাশ শতাংশের মধ্যে রাখতে হবে। কারণ, এখনও পরিস্থিতি অনুকূল না হওয়ায় মানুষজন বেরোচ্ছেন বা। হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান একইভাবে বলেন, রাজ্যের সম্মতি মিললেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও রেলের অনুমতি নিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে। তারা সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করে রেখেছে রেল।
এদিকে, শুক্র ও শনিবার সব বুকিং কাউন্টারের মেশিন চালু রাখতে বলা হয়েছে। সেই মতো হাওড়া, শিয়ালদহ ডিভিশনের সব স্টেশনগুলোতে বুকিংবাবুদের হাজির থেকে কাজগুলি সম্পন্ন করতে হয়েছে। দীর্ঘদিন অব্যবহারে ব্যাটারির চার্জ ও প্রিন্টারের গোলযোগ মেরামত করে সক্রিয় রাখতে এই নির্দেশ বলে জানান এক সিনিয়র ডিভিশন্যাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার। পাশাপাশি দূরপাল্লার ট্রেনে রাজ্যের অনুমোদনের পাশাপাশি ট্রেনটি যে রাজ্য দিয়ে গন্তুব্যে যাবে সেই রাজ্যগুলির ছাড়পত্রের প্রয়োজন। এমনকি কোন স্টেশনে দাঁড়াবে, কোথায় দাঁড়াবে না তা ঠিক করে দেবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য। রেল স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, ট্রেন চালানোর পর রাজ্যের বাঁধা যাতে না আসে সেই কারণে তাদের ছাড়পত্র সবার আগে প্রয়োজন। শিয়ালদহের ডিআরএম বলেন, ”শনি ও রবিবার দেখা যাক কেন্দ্রের অনুমতি আসে কি না। কারণ, আনলক ফোরের নির্দেশ মাসের শেষ দিকে ঘোষণার অপেক্ষা করছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.