বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: প্রবীণদের বিশ্রামে পাঠিয়েছে সিপিএম (CPM)। নতুন প্রজন্মকে সামনে এনে আলিমুদ্দিন সাহসী পদক্ষেপ করেছে বলেই মনে করছে বামফ্রন্টের শরিকরা। সিপিএমের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বামফ্রন্টের বাইরে থাকা বামপন্থী দলগুলোও (Left)। তবে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দায়িত্ব নিয়ে নতুন প্রজন্মকে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
বিমান বসু (Biman Basu)-সহ এক ঝাঁক প্রবীণ নেতাকে রাজ্য কমিটি থেকে বিদায় জানিয়েছে সিপিএম। স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়িয়েছেন বিমান বসু। দীর্ঘ ৫১ বছর পর রাজ্য কমিটি থেকে তাঁর নাম বাদ যাওয়া নিয়ে অশীতিপর বিমানবাবুর প্রতিক্রিয়া, চিরকাল সবাই থাকে না। সবাইকে সরতে হয়। নইলে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে দেওয়া যাবে না।” তাঁদের বদলে রাজ্য কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছে বেশ কিছু পরিচিত নতুন মুখ।
বামফ্রন্ট শরিক আরএসপির (RSP) সাধারণ সম্পাদকমণ্ডলীর ভট্টাচার্যের মতে, বামপন্থীরা কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় কমবয়সিরা দায়িত্ব নিলে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারবে। তবে সকলে বিমান বসু হয় না। নবীনদের বিমান বসুর মতো নেতাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে বলে মনে করেন তিনি। তবে নবীন ও প্রবীণের সংমিশ্রণে পার্টি এগিয়ে গেলে ভবিষ্যৎ সবসময় ভাল হয়।
দেশ কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে গেলে নবীনদের নতুন নতুন চিন্তাভাবনার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে বলে মনে করেন নকশালপন্থী সিপি আইএমএলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কার্তিক পাল। প্রকৃত বামপন্থার মধ্যে থাকতে হবে বলে পরামর্শ এসইউসিআইয়ের (SUCI)। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিতাভ চক্রবর্তী মনে করেন, ভোট সর্বস্ব রাজনীতি নয়। প্রকৃত বামপন্থাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে নতুন প্রজন্মকে। তবেই জয় আসবে বলে মনে করেন তিনি। ফরওয়ার্ড ব্লকের (FB) রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় সরাসরি স্বাগত জানিয়েছে সিপিএমের এই সিদ্ধান্তকে। ভবিষ্যতের পার্টি করতে গেলে অবশ্যই নতুন প্রজন্মের উপর ভরসা করতে হবে। তবে বামফ্রন্ট রক্ষা করতে গেলে বিমান বসুর মতো প্রবীণ নেতাদের ও প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.