রাহুল চক্রবর্তী: বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনার মধ্যেই অকস্মাৎ বিধানসভায় হাজির হলেন রায়দিঘির বিধায়ক দেবশ্রী রায়। বিধানসভায় দেবশ্রীর আগমন ঘিরে নয়া জল্পনা শুরু হয়েছে শাসকদলের অন্দরেই। তবে কি তৃণমূলেই থাকতে চলেছেন দেবশ্রী? এই প্রশ্নই আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে রাজনৈতিক মহলে।
শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন বিজেপিতে যোগ দিলেন, সেদিন বিজেপি দপ্তরে হাজির ছিলেন দেবশ্রীও। সংবাদমাধ্যমে তাঁর সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপি যোগদানের জল্পনা ছড়ায়। তবে, শোভনবাবুর আপত্তিতে সেদিন আর গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া হয়নি দেবশ্রীর। দিন কয়েক আগে একবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের বাড়িতেও হাজি হন দেবশ্রী। কিন্তু, দিলীপবাবু সেসময় বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না। তাই দেখা হয়নি, কিন্তু ফোনে কথা হয়। এরপর দিলীপ ঘোষ প্রকাশ্যেই দেবশ্রীর বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে মুখ খোলেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানিয়ে দেন, দলে সহমতের ভিত্তিতে ঠিক হবে দেবশ্রীকে নেওয়া হবে কি না। এরপর অবশ্য, আর তাঁর বিজেপি যোগ নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্চ্য হয়নি। আসলে দেবশ্রীর বিজেপিতে যোগ দেওয়াতে তীব্র আপত্তি ছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। এরপর অবশ্য, আর দেবশ্রীর-বিজেপি যোগ নিয়ে কোনও জল্পনা শোনা যায়নি।
এসব ঘটনা যখন ঘটছে, তখন তৃণমূলের সঙ্গে কোনও যোগাযোগই ছিল না রায়দিঘির বিধায়কের। এমনকী, গত অধিবেশনে বিধানসভামুখোও হননি। দলীয় কর্মসূচিতেও উপস্থিত ছিলেন না এতদিন। এরই মধ্যে খানিকটা অবাক করে দিয়েই বুধবার বিধানসভায় হাজির হন দেবশ্রী। এদিন বিধানসভায় ছিল তথ্য-সংস্কৃতি স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক। কমিটির সদস্য হিসেবে বৈঠকে যোগ দেন রায়দিঘির বিধায়ক দেবশ্রী। এর পরে বিধানসভায় মহিলা বিধায়কদের বসার জায়গায় যান তিনি। সেখানে মালা সাহা, জ্যোৎস্না মান্ডি, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা বিধায়করা ছিলেন। তাদের সঙ্গে কথা বলেন দেবশ্রী। বিধানসভায় তিনি সই করেছেন তৃণমূল বিধায়ক হিসেবেই। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা না বললেও, দেবশ্রীর হঠাৎ বিধানসভা আগমনে নয়া জল্পনা ছড়াল রাজনৈতিক মহলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.