Advertisement
Advertisement
Kolkata

প্রসূতিকে মৃত ঘোষণার পরই মিরাকল, সদ্যোজাতর কান্নায় প্রাণ ফিরে পেলেন মা!

সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাচ্ছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা।

Kolkata: 'Dead' woman gets life as newborn's cry echos | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:October 3, 2023 4:02 pm
  • Updated:October 3, 2023 4:02 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই কি বলে নাড়ির টান? সন্তানের কান্নার শব্দে প্রাণ ফিরে পেলেন মা! হ্যাঁ, সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাচ্ছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা।

সিঙ্গুরের বাসিন্দা ফিরদৌসি বেগম কৃত্তিম প্রজনন পদ্ধতিতে সন্তান সম্ভবা হয়েছিলেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হন কলকাতা মেডিক্যালে। শ্বাসকষ্টের উপসর্গও ছিল তাঁর। ভর্তির ঘণ্টা দেড়েক কার্ডিয়াক অ্যারেট হয় ফিরদৌসির। খানিক পরীক্ষানিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণাও করে দেন। তবে গর্ভস্থ সন্তানকে বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা চালান ডাক্তাররা। সেই প্রয়াসে কাজও হয়। ভূমিষ্ঠ হয় কন্যা সন্তান। কিন্তু ততক্ষণে মা-কে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাজ্যের এক কোটি জব কার্ডই ভুয়ো! দিল্লিতে বসে পালটা দাবি শুভেন্দুর]

তবে তার পরও হাল ছাড়েননি চিকিৎসকরা। অ্যানাস্থেসিস্ট বিভাগের প্রধান সোমনাথ দে, ওটি ইনচার্জ কল্যাণব্রত মণ্ডলের তত্ত্বাবধানে ‘মৃত’ মা’কে CPR দিতে শুরু করেন সিনিয়র রেসিডেন্ট, পিজিটি’রা। মিনিট খানেক পরই সন্তানের কান্নার শব্দে হৃদস্পন্দন ফিরে পান ফিরদৌসি। মা ও মেয়েকে নতুন জীবন দেওয়ায় মুখে হাসি চিকিৎসকদেরও।

কিন্তু কীভাবে স্পন্দন ফিরে পেলেন ওই মহিলা? চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ভর্তি হওয়ার সময় মহিলার অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৮ শতাংশের কাছাকাছি ছিল। ইসিজির রেকর্ড বা নাড়ির স্পন্দন পাননি। দ্রুত সিপিআর চালু করা হয়। তাতেই স্পন্দন ফিরে পান রোগী। বিজ্ঞানের ভাষায় একে ‘রেয়ার কন্ডিশন’ বলা হয়ে থাকে। এমন ঘটনায় চিকিৎসকদের কাজে কৃতজ্ঞ ফিরদৌসির পরিবারও।

[আরও পড়ুন: দশভুজার আরাধনায় মেয়েরাই, শান্তির বার্তা দিতে রানাঘাটে মণ্ডপসজ্জায় ১৫ নারী]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement