Advertisement
Advertisement

Breaking News

মা ও সদ্যোজাতর পাশে রাতভর রাখা রক্তাক্ত মৃতদেহ, কাঠগড়ায় শহরের নার্সিংহোম

মৃতদেহ সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই, সাফাই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের৷

Dead body kept besides patient, protest in Bidhannagar hospital
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 12, 2018 6:43 pm
  • Updated:January 10, 2019 4:12 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  দাম্পত্য জীবনে পূর্ণতা আনে সন্তান৷ সন্তান প্রাপ্তির আশায় কী না করেন দম্পতিরা! কিন্তু, শহরের একটি নার্সিংহোমে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর যা অভিজ্ঞতা হল, তা বোধহয় কোনওদিন ভুলতে পারবেন না মৌসুমী সেন৷ রাতভর মৌসুমী ও তাঁর সদ্যোজাত সন্তানের পাশের বেডে একটি রক্তাক্ত মৃতদেহ রাখা ছিল বলে অভিযোগ৷ শুক্রবার সকালে ঘটনাটি জানার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর বাড়ির লোকেরা৷ প্রতিবাদ জানান অন্য বেডে থাকা রোগীর আত্মীয়রাও৷ প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে প্রসূতি বিভাগ থেকে মৃতদেহটি সরিয়ে দেয় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ৷ তাদের সাফাই, নার্সিংহোমে মৃতদেহ সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই৷ তাই সত্তরোর্ধ্ব এক মহিলার মৃতদেহ বেডেই ফেলে রাখা হয়েছিল৷

[‘গণতন্ত্রের জয়’, হাই কোর্টের রায়ে চাঙ্গা বিরোধী শিবির]

Advertisement

বিধাননগর পুলিশ আবাসনে স্বামী ও এক সন্তানকে নিয়ে থাকেন মৌসুমী সেন৷ তাঁর স্বামী বিমানবন্দর থানায় কর্মরত৷ দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হয়েছিলেন মৌসুমী৷ বুধবার রাতে তাঁকে বিধাননগরের একটি নার্সিংহোমে ভরতি করেন বাড়ির লোকেরা৷ রাতে সন্তানের জন্ম দেন মৌসুমী৷ মা ও শিশুর কোনও শারীরিক সমস্যা ছিল না৷ তাই সন্তান প্রসবের কিছুক্ষণ পরই মৌসুমী ও তাঁর সদ্যোজাত সন্তানকে স্থানান্তরিত করা হয় প্রসূতি বিভাগের জেনারেল বেডে৷ মৌসুমী রায়ের অভিযোগ, তিনি ও তাঁর সন্তান যে বেডে ছিলেন তার পাশের বেডে এক মহিলার রক্তাক্ত মৃতদেহ রাখা ছিল৷ বহুবার মৃতদেহটি সরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন তিনি৷ কিন্তু, নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেনি৷ এভাবেই গোটা রাত কেটে যায়৷ সকালে বিষয়টি জানতে পেরে হাসপাতালে তুমুল বিক্ষোভ দেখান মৌসুমীর বাড়ির লোকেরা৷ তাঁদের অভিযোগ, মৃতদেহ পাশে থাকার ফলে সদ্যোজাতর শরীরে সংক্রমণ হতে পারে৷ বিক্ষোভে শামিল হন অন্য বেডে থাকা রোগীর পরিবারের লোকেরাও৷ এরপরই তড়িঘড়ি মৃতদেহটি সরিয়ে ফেলা হয়৷ কিন্তু, কেন এমনটা হল? নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সাফাই, ওই নার্সিংহোমে মৃতদেহ সংরক্ষণে ব্যবস্থা নেই৷ তাই বাধ্য হয়ে মৃতদেহটি প্রসূতি বিভাগের বেডে রাখা হয়েছিল৷

[মেয়রের নামে ভুয়ো জিএসটি অ্যাকাউন্ট, লালবাজারের দ্বারস্থ শোভন চট্টোপাধ্যায়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement