ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: ময়নাতদন্তের দেহ চলে গেল ডাক্তারি পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণের জন্য। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (R G Kar Medical College) এই ঘটনায় বিস্মিত, হতচকিত চিকিৎসক মহল। আমজনতার অভিমত, চূড়ান্ত মানবধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ও অধ্যাপকদের নির্দশনযোগ্য শাস্তির দাবি তুলেছেন তাঁরা।
অভিযোগের আঙুল উঠেছে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। তাঁর নির্দেশেই নাকি ময়নাতদন্তের জন্য আনা দেহ পাঠানো হয়েছিল ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আর জি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ দায় চাপিয়েছেন ফরেনসিক মেডিসিনের অধ্য়াপকদের উপরে। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ এনে বিভাগীয় অধ্যাপকদের দাবি, গত ২১ তারিখ অধ্যক্ষ লিখিতভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, দাবি, “পুরো ঘটনাটি ভুয়ো। এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। এমন কিছু ঘটলে আমি তদন্ত করে দেখব।” প্রয়োজনে স্বাস্থ্যভবনে তদন্ত করা উচিত। গোটা বিষয়টি গর্হিত অপরাধ বলেই গণ্য করা যায়
গত ৫ জানুয়ারি আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ইএনটি বিভাগের পড়ুয়াদের প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস ছিল। তার জন্য় কয়েকটি দেহের প্রয়োজন ছিল। অভিযোগ, ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো একাধিক দেহ না কি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেই কর্মশালায়। যা আদপে নিয়ম বিরুদ্ধ। কারণ, পরিবারের অনুমতি ছাড়া ও পুলিশকে না জানিয়ে মৃতদেহ পড়ুয়াদের কর্মশালায় পাঠানো যায় না। জানা গিয়েছে, কর্মশালায় কাটাছেঁড়ার পর বিকেল পাঁচটা নাগাদ দেহগুলির ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
অভিযোগের আঙুল উঠেছে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও ময়নাতদন্তের বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, অধ্যক্ষের নির্দেশে ও দেহ কর্মশালায় পাঠিয়েছিল বিভাগীয় প্রধান। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের ভূমিকা থাকে না। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের দাবি, “পুরো বিষয়টি ভুয়ো। এমন কিছু ঘটলে তদন্ত করে দেখব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.