Advertisement
Advertisement
জীবন সাহা

কাটমানি তিরে বিদ্ধ তৃণমূল কাউন্সিলর জীবন সাহা, বেলেঘাটা জুড়ে পোস্টার

সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে, বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলর৷

Cut money slur against TMC's KMC councilor Jiban Saha
Published by: Tanujit Das
  • Posted:July 8, 2019 12:42 pm
  • Updated:July 8, 2019 12:42 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিঁথি, মানিকতলার পর এবার বেলেঘাটা৷ ফের কাটমানি তিরে বিদ্ধ মধ্য কলকাতার আরও এক দাপুটে তৃণমূল নেতা৷ বিভিন্ন ভাবে এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে থেকে টাকা তোলার অভিযোগে এবং জলাজমি ভরাটের অভিযোগ, এবার ফ্লেক্স লাগানো হল কলকাতা কর্পোরেশনের ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জীবন সাহার বিরুদ্ধে৷ জানা গিয়েছে, সমগ্র বেলেঘাটা অঞ্চলে ছেঁয়ে গিয়েছে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্বলিত ৫০টিরও বেশি ফ্লেক্স৷ যাতে তাঁর বিরুদ্ধে ১৩ দফা অভিযোগ পেশ করা হয়েছে৷ যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর তথা উত্তর কলকাতা যুব তৃণমূলের সভাপতি জীবন সাহা৷

[ আরও পড়ুন: পাত্রীর ১০ কোটি টাকা থাকলে তবেই বিয়ে, আজব বিজ্ঞাপন স্কুল শিক্ষকের]

Advertisement

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোমবার সকালে এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে পোস্টারগুলি দেখতে পান তাঁরা৷ যেখানে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ১৩ দফা অভিযোগ করা হয়েছে৷ ফ্লেক্সে লেখা হয়েছে, কাটমানির বিনিময়ে এলাকায় বেআইনি নির্মাণে মদতে দিচ্ছেন কাউন্সিলর৷ তাঁর মদতেই এলাকায় বাড়ছে প্রমোটারিরাজ৷ এছাড়া একাধিক জলাজমি বুজিয়ে প্রমোটিং কারও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে৷ স্থানীয়দের অনুমান, যে বা যাঁরাই এই ফ্লেক্স লাগিয়ে থাকুক না কেন, সুপরিকল্পিত ভাবে একাজ করা হয়েছে৷ যথেষ্ট গবেষণা করে এবং কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সমস্ত তথ্য প্রমাণ একত্র করে, ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে৷ এবং সুষ্ঠভাবে রাতের অন্ধকারে একাজ করা হয়েছে৷ যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কলকাতা কর্পোরেশনের ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা উত্তর কলকাতা যুব তৃণমূলের সভাপতি জীবন সাহা৷ এই ঘটনার পিছনে বিজেপির চক্রান্তের পালটা অভিযোগ করেছেন তিনি৷

[ আরও পড়ুন: ‘দাদা হিসাবে পরামর্শ দিতে এসেছি’, সব্যসাচীর সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বার্তা মুকুলের ]

প্রসঙ্গত, এর আগে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে৷ তাঁর বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ করেন উত্তর কলকাতার সিঁথি এলাকার প্রমোটার সুমন্ত্র চৌধুরি। জানান, কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর থাকাকালীন তাঁর কাছ থেকে ৪০ লক্ষ টাকারও বেশি কাটমানি নিয়েছিলেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। এমনকী, শান্তনু সেনই কলকাতায় প্রথম কাটমানি নেওয়ার রেওয়াজ চালু করেছিলেন বলে দাবি করেন ওই প্রোমোটার। সম্প্রতি একই অভিযোগ উঠেছে, কলকাতা কর্পোরেশনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমল চক্রবর্তী ও বিধায়ক সাধন পাণ্ডের বিরুদ্ধেও৷ উত্তর কলকাতায় উল্টোডাঙার মুরারিপুকুর এলাকায় বেশ কয়েকটি পোস্টারে তাঁদের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ করে বিজেপি৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement