সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাটমানি নিয়ে বিক্ষোভের আঁচ এবার কলকাতায়। তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল উল্টোডাঙায়। ‘বিজেপি জিন্দাবাদ’ লেখা পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে এলাকার বিধায়ক ও মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের নামও।
অভিযোগটা ছিলই। খোদ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া বার্তা দেওয়ার পর কাটিমানি ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। কোথাও কোথাও আবার চাপের মুখে তৃণমূল নেতারা টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন বলেও খবর। এমনকী, খোদ তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ করেছেন উত্তর কলকাতার সিঁথি এলাকার প্রোমোটার সুমন্ত্র চৌধুরি। তাঁর দাবি, কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর থাকাকালীন তাঁর কাছ থেকে ৪০ লক্ষ টাকারও বেশি টাকা কাটমানি নিয়েছিলেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। বস্তুত, শান্তনু সেনই কলকাতায় প্রথম কাটমানি নেওয়ার রেওয়াজ চালু করেছিলেন বলে দাবি করেছেন ওই প্রোমোটার। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শান্তনু সেন। ক্ষোভ কিন্তু কমেনি। এবার কাটমানি ফেরত চেয়ে খাস কলকাতায় পোস্টার পড়ল।
মঙ্গলবার সকালে উত্তর কলকাতায় উল্টোডাঙার মুরারিপুকুর এলাকায় বেশ কয়েকটি পোস্টার দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। পোস্টারে লেখা ছিল, ‘১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমল চক্রবর্তী বেআইনি কনস্ট্রাকশন দিয়ে এবং কলের লাইন ও ড্রেনের লাইনে জন্য যত টাকা কাটমানি খেয়েছেন, ফেরত দিন।’ আর কাউন্সিলরের কাটমানি নেওয়ার পিছনে যে খোদ এলাকার বিধায়ক ও মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের মদত রয়েছে, তাও স্পষ্ট করে লেখা ছিল ওই পোস্টারে। উল্টোডাঙা এলাকাটি মানিকতলা বিধানসভার অন্তর্গত। স্থানীয় বিধায়ক সাধন পাণ্ডে রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী। কিন্তু কাউন্সিলরের কাছে কাটমানি ফেরত চেয়ে খোদ মন্ত্রীর নামে কারা পোস্টার দিল উল্টোডাঙায়? পোস্টারের উপরে লেখা ছিল ‘জয় শ্রীরাম’, আর নিচে ‘মুকুল রায় জিন্দাবাদ’, ‘দিলীপ ঘোষ জিন্দাবাদ’ ও ‘ভারতীয় জনতা পার্টি জিন্দাবাদ’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.