স্টাফ রিপোর্টার: অবস্থান, বিক্ষোভ ছেড়ে পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার দাবিতে অনশনে বসেছিলেন পড়ুয়ারা। শেষপর্যন্ত কিছুটা সুর নরম করল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। উপস্থিতি কম থাকা সত্ত্বেও সেমিস্টারে বসার সুযোগ পেলেন ৯ জন পড়ুয়া। তবে বাকিরা পরীক্ষা দিতে পারবেন না। উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “শারীরিক অসুস্থতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ওই ন’জনের উপস্থিতির হার কম। কিন্তু, বাকিদের কোনও অবস্থাতেই আমরা পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেব না।” উপাচার্যের ঘোষণার পরই আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন পড়ুয়ার। এদিকে অনশন বসে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এক ছাত্রী। তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করতে হয়। পরে অবশ্য হাসপাতালে থেকে ছাড়া পান তিনি।
[পরীক্ষায় বসার দাবিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যকে ঘেরাও পড়ুয়াদের]
আগামী ২৭ ফ্রেরুয়ারি থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা স্নাতকোত্তরে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের সেমেস্টার পরীক্ষা হবে। বিধি অনুযায়ী, এই পরীক্ষায় বসতে গেলে পড়ুয়াদের ৬৫ শতাংশ উপস্থিতি থাকা বাধ্যতামূলক। তবে ৫৫ শতাংশ উপস্থিতি থাকলেও জরিমানা দিয়ে পরীক্ষায় বসে দেওয়া হয়। কিন্তু, বাংলা স্নাতকোত্তর বিভাগের ৫৩ জন পড়ুয়ায় উপস্থিতির হার ৫৫ শতাংশের কম। পরীক্ষায় বসতে দেওয়া দাবিতে মঙ্গলবার থেকে উপাচার্যকে ঘেরাও করে রেখেছিলেন তাঁরা। কিন্তু, নিজেদের অবস্থান অনড় ছিলেন উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার থেকে অনশন শুরু করেন পড়ুয়ারা।
[নাবালিকাদের নিয়ে হোটেলে মধুচক্রের আসর, সিআইডির জালে ৩ মহিলা-সহ ১২]
বৃহস্পতিবার আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক বৈঠকে করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু নিয়ম আছে। সেই নিয়ম সকলেই মেনে চলতে হয়। হঠাৎ করে কোনও নিয়ম পালটে ফেলা যায় না। সেই ক্ষমতাও আমার নেই। কোনও পড়ুয়ার যদি উপস্থিতি হার ৫৫ শতাংশেরও কম থাকে, তাহলে তাঁকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া উপাচার্যের পক্ষেও সম্ভব নয়।’ তবে শারীরিক অসুস্থতা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে উপস্থিতি কম থাকা সত্ত্বেও ৯ জন পড়ুয়াকে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে বাকিদের নিয়ম মেনেই পরের সেমেস্টারের পরীক্ষায় বসতে হবে। তবে ২৭ ফ্রেরুয়ারি থেকে যে সেমিস্টার শুরু হবে, তাতে বসতে পারবেন না তাঁরা। উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন পড়ুয়ারা।
[‘নির্ভয়ার জন্য প্রতিবাদ হলে, কুশমণ্ডির নিগৃহীতার জন্য কেন নয়?’]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.