সুব্রত বিশ্বাস: নেটদুনিয়ার হাত ধরে রেলের সংরক্ষিত টিকিটের বেশিরভাগটাই চলে যাচ্ছে দালালদের হাতে। পার্সোনাল ‘কোড’ ব্যবহার করেই সংরক্ষিত টিকিট তুলে নিচ্ছে এজেন্সিগুলিও। এই বেআইনি কারবার রুখতে বিভিন্ন এজেন্সিতে হানা দিচ্ছে আরপিএফ।
[সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা অরাজনৈতিক, মাধ্যমিকে ঈর্ষণীয় সাফল্য পড়ুয়াদের]
বুধবার হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন হোটেল চত্বর ডবসন রোডে হানা দিয়ে গ্রেট ইন্ডিয়ান ট্রাভেলসের মালিক মণীশকুমার রাইকে গ্রেপ্তার করে হাওড়ার স্টেশন পোস্টের আরপিএফ। ইন্সপেক্টর মিহির দাস জানান, ধৃত এজেন্ট পার্সোনাল কোড ব্যবহার করে সংরক্ষিত টিকিট তুলে নিচ্ছিল বছর পাঁচেক ধরে। এভাবে কাটা প্রচুর টিকিট, ফাঁকা রিকুইজিশন ফর্ম, ল্যাপটপ, মোবাইল সব আটক করা হয়েছে। লাইনের সামনে দালাল দাঁড় করিয়ে প্রথম তৎকাল টিকিটও তুলত এজেন্ট। এই সব টিকিট মোটা দামে বিক্রি করত যাত্রীদের কাছে। এই পন্থায় এজেন্সিগুলিই টিকিট তুলে নেওয়ায় প্রকৃত যাত্রীরাই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে রেলের কমার্শিয়াল বিভাগ জানিয়েছে।
[মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদল, দায়িত্ব কমানো হল শোভনের]
আরপিএফ-এর এই তৎপরতার পাশাপাশি সমালোচনাও রয়েছে প্রচুর। যাত্রীর চুরি রুখতে হাওড়ায় ‘থেফ্ট অফ প্যাসেঞ্জার বিলংগিং’ নামের টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে আরপিএফ। এই ফোর্স থাকা সত্ত্বেও মঙ্গলবার জামালপুর ও রাজেন্দ্রনগর দু’টি এক্সপ্রেসে দু’টি ল্যাপটপ চুরির ঘটনা ঘটে। ১৮২ নম্বরে অভিযোগ আসতেই তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে নানা মহলে। আরপিএফের একাংশের মতে, গঠিত টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের বিরুদ্ধেই রয়েছে অভিযোগ। অভিযোগ বদলির পরও কীভাবে তাদের এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আনা হল সেটাই মূল বিষয় বলে তাঁরা জানান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.