ছবি: প্রতীকী।
অর্ণব আইচ: ফের প্রতারণা চক্রের হদিশ মিলল শহর কলকাতায় (Kolkata)। এবার খোদ পুলিশ সেজে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে চার জনের বিরুদ্ধে। ভুয়ো নিয়োগপত্র থেকে পুলিশের পোশাক, বেল্ট, ব্যাজ পর্যন্ত তৈরি করে ফেলেছিল তারা। তবে শেষরক্ষা হল না। পুলিশি (Police) তৎপরতায় ধরা পড়ল চার জালিয়াত। ধৃতরা কেউ-ই কলকাতার বাসিন্দা নন।
পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত মাসুদ রানা মুর্সিবাদের বাসিন্দা, রবি মুর্মু মালদহ, শুভ্র নাগ গাইঘাটা এবং পরিতোষ বর্মণ মেদিনাপুরের বাসিন্দা। মাসুদের কাছ থেকে নগদ দেড় লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। মিলেছে পুলিশের শীর্ষ কর্তা ভুয়ো পরিচয়পত্র এবং পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরের ভুয়ো নিয়োগপত্রও। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের।
জানা গিয়েছে, মাসুদ রানা নিজেকে ডেপুটি পুলিশ সুপার হিসেবে পরিচয় দিত। তার সঙ্গীরাও নিজেকে পুলিশ আধিকারিক হিসেবে পিরচয় দিত। কাউকে রাজ্য পুলিশ তো কাউকে হোম গার্ডে চাকরি দেওয়ার নামে মোটা টাকা হাতাতো বলে অভিযোগ। নির্দিষ্ট সময়ে ভুয়ো নিয়োগপত্রও দিত। তেমনই চাকরির টোপ দিয়ে পশ্চিম মেদিবীপুরের শালবনির বাসিন্দা সমরেশ মাহাতোর থেকে মোটা টাকা হাতিয়ে ছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, চাকরির টোপ দিয়ে মোট ৩৫ লক্ষ টাকা হাতিয়েছিল ধৃতরা। কলকাতার চাঁদনি চক ও মেদিনীপুরে হোটেলে বসে ওই চক্র চালাত তারা। পুলিশ সূত্রে খবর, রবি মুর্মু কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল ছিলেন। ২০১১ সালে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। সেই সময়ও তার বিরুদ্ধে চাকরি দেওযার নামে টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছিল।
শেষমেশ শালবনীর বাসিন্দা বউবাজার থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি, ভুয়ো আইডি কার্ড উদ্ধার হয়েছে। প্রসঙ্গত, দেবাঞ্জন কাণ্ডের পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এ ধরনের প্রতারণা চক্রের হদিশ মিলছে। কেউ পুলিশ সেজে চাকরির টোপ দিয়ে টাকা হাতাচ্ছে, তো কেউ আবার গোয়েন্দা কর্তা হিসেবে টাকা হাতাচ্ছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.