Advertisement
Advertisement

Breaking News

ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো কলকাতা হাই কোর্ট

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ শুরুর পরই বউবাজারে আবার ফাটল, কর্তৃপক্ষের জবাব তলব হাই কোর্টের

সুরক্ষাবিধি মেনে কাজ হচ্ছে না বলেই অভিযোগ মামলাকারীর আইনজীবীর।

Cracks appear at Bow Bazar building after East-West Metro work resumes
Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 2, 2020 8:41 pm
  • Updated:July 2, 2020 8:47 pm  

শুভঙ্কর বসু: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর (East West Metro) কাজ পুনরায় শুরুর পর বউবাজার এলাকায় নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে। অন্তত ৩০ থেকে ৪০টি বাড়ি নতুন করে ক্ষতিগ্রস্ত। এ ব্যাপারে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হলেও তারা কথা কানে তুলছে না। বিষয়টি গুরুত্ব না দেওয়া হলে ফের ভয়ংকর বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। এমন অভিযোগে এবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন এলাকারই বাসিন্দা রাজলক্ষ্মী ধর। জনস্বার্থ মামলায় তাঁর আইনজীবী দীপঙ্কর ধরের দাবি, বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে নতুন করে কাজ শুরু করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। আদতে কোনরকম সুরক্ষা বিধি মানা হচ্ছে না। কোনরকম পরিদর্শন ছাড়াই ফের কাজ শুরু হয়েছে। যার ফলে একাধিক বাড়িতে নতুন করে ফাটল দেখা দিতে শুরু করেছে। মামলায় আপাতত মেট্রো কর্তৃপক্ষের জবাব তলব করেছে প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণণের ডিভিশন বেঞ্চ।

আশঙ্কা আর দোলাচলের মধ্যে দিনদশেক আগেই ধস কবলিত বউবাজার এলাকা পেরিয়েছিল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম) উর্বী। আদালতের নির্দেশ মতো আইআইটি মাদ্রাজ ও হংকংয়ের বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে সেখানে পুনরায় কাজ শুরু হয়। টিবিএমটি এখন বউবাজার সংলগ্ন বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১৫ মিটার সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ চলছে বলে খবর। ওই এলাকায় মাটির গুণগত বৈশিষ্ট্যের কারণে বিশেষ সতর্কতার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে বলে দাবি মেট্রো কর্তৃপক্ষের। নতুন করে কোনও বিপত্তি হয়নি। কিন্তু অভিযোগ, দুর্গা পিতুরি লেন, মদন দত্ত লেন, চৈতন্য সেন লেন, গৌর দে লেন, স্যাঁকরা পাড়া লেনে নতুন করে বিভিন্ন বাড়িতে ফাটল দেখা দিতে শুরু করেছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনার সঙ্গে শরীরে নিউমোনিয়ার থাবা, বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি নাইসেড অধিকর্তা]

দীপঙ্করবাবুর অভিযোগ, গত বছরের বিপর্যয়ের ক্ষত এখনও দগদগে। বহু মানুষ এখনও ক্ষতিপূরণের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন। তা সত্ত্বেও নতুন করে কাজ শুরুর আগে এলাকায় কোনওরকম সুরক্ষা বিধি নেওয়া হয়নি। মাদ্রাজ আইআইটি ও হংকংয়ের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ চলছে বলে দাবি করা হচ্ছে ঠিকই। তবে একবারও ওই এলাকা পরিদর্শন করেননি মেট্রোর আধিকারিকরা। বাড়িগুলি সার্ভে করে ফিট সার্টিফিকেটও দেওয়া হয়নি। রুট সম্পর্কিত তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। ফলে নতুন করে বিপর্যয়ের আশঙ্কায় দিন কাটছে এলাকার মানুষজনের। মেট্রো কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, সুরক্ষাবিধি মেনেই কাজ হচ্ছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে ১১ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ২০ তারিখ ফের মামলার শুনানি।

[আরও পড়ুন: অবসাদের জেরে আত্মহত্যা, সিরিঞ্জের সূত্র ধরেই ফুলবাগানের চিকিৎসকের মৃত্যুর রহস্যভেদ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement