বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: সাত মণ তেল পুড়লেও রাধা নাচলো না, দশবছরে সভার পর সভা। আলোচনার পর আলোচনা। হাজারো কাটাছেঁড়া। কিন্তু রক্তক্ষরণ অব্যাহত। রক্তক্ষরণ বন্ধে আবারো ঝাঁপাচ্ছেন কমরেডকুলের নেতারা। রক্তক্ষরণ বন্ধের উপায় খুঁজতে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছে সিপিএম (CPM) রাজ্য কমিটি। সম্মেলনের গাইডলাইন বেঁধে দিতেও বৈঠকে আলোচনা হবে বলে সূত্রের খবর। বৈঠকে থাকার কথা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury)-সহ পলিটব্যুরোর পাঁচ সদস্যর।
তৃণমূল সম্পর্কে অবস্থান ঠিক করতে বসে ধন্ধে আলিমুদ্দিন (Alimuddin Street)। বৃহস্পতিবার থেকে দু’দিনের রাজ্য কমিটি। তার আগের দিন তৃণমূল সম্পর্কে রাজ্য পার্টির অবস্থান ঠিক করতে বসে প্রায় গোটা দিন লাগিয়ে দিল আলিমুদ্দিনের কর্তারা। দু’দফায় বৈঠকে বসতে হয় সম্পাদকমণ্ডলীকে। রাজ্যের শাসকদলকে নিয়ে পার্টির নবমূল্যায়ন করতে গিয়ে পার্টির রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী কার্যত আড়াআড়ি ভাগ হয় বলে সূত্রের খবর। পার্টির কট্টরপন্থীরা পুরনো অবস্থানেই অনড় থাকলেও আরেকপক্ষ নরম মনোভাব নিয়ে রাজ্য কমিটির বৈঠকে বসতে চেয়ে সওয়াল করেন। কিন্তু গোল বেঁধেছে অন্য জায়গায়। ভোটের আগে পর্যন্ত যে দলকে রাজ্যে প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িক রাজনীতি অংশ বলে অভিযোগ করতো আলিমুদ্দিন। রাতারাতি সেই তৃণমূলকেই (TMC) অসাম্প্রদায়িক বলে প্রকাশ্যেই জানিয়েছে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি। ফলে রাজ্যের ক্ষেত্রে তৃণমূলকে সাম্প্রদায়িক হিসাবে দেখা হবে কিনা সেই প্রশ্নে দ্বিধায় কমরেডকুলের শিরোমণিরা। তাই সাম্প্রদায়িক-অসাম্প্রদায়িক প্রশ্নে ‘ধরি মাছ, না ছুই পানি’ গোছের লাইন খুঁজতে গিয়ে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী কার্যত দিশেহারা হয়।
সেইসঙ্গে পার্টির সবস্থরেই নেতৃত্বে নয়া মুখের সন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। কীভাবে চেয়ার আকড়ে বসে থাকা অকর্মণ্য ও নিষ্ক্রিয় নেতৃত্বকে সরানো যায় তা নিয়েও এদিন আলিমুদ্দিন নয়া গাইডলাইন তৈরি করেছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু নতুন গ্রহণযোগ্য মুখ কোথায়? দসে প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে সিপিএমের অন্দরে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.