বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: গত পুরভোটে (WB Civic Polls) যে ভুল হয়েছিল, তার পুনরাবৃত্তি চাইছে না আলিমুদ্দিন। ভোট চলাকালীন মাঝপথে প্রার্থী প্রত্যাহার কোনওভাবেই করা যাবে না। ভোট বয়কটও চলবে না। তবে ব্যাপক ছাপ্পা বা রিগিং হলে পথ অবরোধ বা বিক্ষোভ করা যেতে পারে। জেলা নেতৃত্বকে সাফ জানিয়ে দিল শীর্ষ নেতৃত্ব। কারণ, রাজ্যে পরিবর্তন হচ্ছে বিরোধী অভিমুখ। বিরোধী পরিসর ধীরে ধীরে দখলে নিচ্ছে বামেরা। সেই পরিসর আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে ভোটের দিন সকাল থেকেই দিতে হবে ‘জান কবুল লড়াই’। জেলা নেতৃত্বকে কার্যত নির্দেশ আলিমুদ্দিনের।
লোকসভার পর বিধানসভা। পরপর দুটি নির্বাচনে বামেদের (Left Front) ঝুলিতে শূন্য। বিরোধী পরিষদের দখল নিয়েছিল গেরুয়া শিবির। বিধানসভা ভোটের পর থেকেই গেরুয়া স্রোতে ভাটার টান। রাস্তায় নেমে লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচিতে থাকার ফল পাচ্ছে বামেরা। একটু জোয়ার এসেছে লাল স্রোতে। প্রথমে কলকাতা পুরসভা। পরে আরও চারটি নগরনিগম। দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে লাল শিবির। পদ্ম শিবিরে চলে যাওয়া জনসমর্থন একটু একটু করে ফিরছে বলে মনে করছে আলিমুদ্দিন।
সেই ভোট আরও বাড়িয়ে তুলতে বেশ কয়েক দফা নির্দেশ দিল আলিমুদ্দিন –
অন্যদিকে, পুরভোটের আগের দিন থেকেই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের শুরু করল বিরোধীরা। ভোটের কাজে যাদের ব্যবহার করার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তাদেরকেই দায়িত্ব দিয়েছে কমিশন। অভিযোগ বামেদের। প্রতিটি পুরসভা এলাকা বহিরাগতদের দখলে অভিযোগ কংগ্রেসের। সিপিএম (CPM) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী সিভিক ভলেন্টিয়ার বা অস্থায়ী কর্মীদের ভোটের কাজে নিয়োগ করা যায় না। কিন্তু এবার পুরভোটে এদেরকেই ব্যবহার করছে কমিশন। আসলে শাসকদলকে ভোট লুটে সাহায্য করতে কমিশন এদের ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ সুজনের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.