বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: ‘পোস্টার গার্ল’, এই তকমা জুটেছিল আগেই। নন্দীগ্রামের (Nandigram) লড়াকু মেয়েটিকে অনেকেই লাল পার্টির ‘তরুণ মুখ’ বলে মনে করছিলেন। তার প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু করেছে সিপিএমও। তিনি মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee)। শুক্রবার দলের রাজ্য দপ্তরে তাঁকে সংবাদমাধ্যমের সামনে বসিয়ে সেই ইঙ্গিত দিল আলিমুদ্দিন। কিন্তু পার্টির ‘মুখ’ হতে নারাজ DYFI নেত্রী নিজেই। বরং তাঁর বক্তব্য, দলীয় নেতৃত্ব যে দায়িত্ব দেবে, তা যথাযথভাবে পালন করতে বাধ্য।
একুশে বঙ্গের বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামের মতো হাই ভোল্টেজ কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার পর থেকে একটু একটু করে পরিচিত হচ্ছিলেন। তার আগে নজর কেড়েছিলেন বামেদের নবান্ন অভিযানে। সেসময় পুলিশের টিয়ার গ্যাস, জলকামানের অত্যাচার থেকে দলের যুব নেতা,নেত্রীদের রীতিমতো আগলে রেখেছিলেন তিনি। এরপরই নন্দীগ্রামে ‘বীরাঙ্গনা’র লড়াই। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এখন মীনাক্ষী পার্টির তারকা প্রচারক। মোর্চার যে কোনও সভাতে সিপিএমের (CPM) ‘পোস্টার গার্ল’ এর চাহিদা তুঙ্গে। চাহিদা পূরণ করতে প্রতিদিন আট থেকে দশটি সভা অথবা রোড শো করতে হচ্ছে। তাঁর বাচন ভঙ্গি, শব্দচয়ন, ছাত্র-যুবদের মন জয়ে বাংলা-হিন্দি মেশানো বক্তব্যের পাশাপাশি সাদামাটা লাল-সাদা সালোয়ার ‘ড্রেস কোড’ হয়ে গিয়েছে। তাঁকে এই পোশাকে দেখতেই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে আমজনতা।
যত দিন গড়াচ্ছে, ততই জনপ্রিয় হচ্ছেন মীনাক্ষী। সবদিক ভাবনাচিন্তা করে পার্টির যুব সংগঠনের সভানেত্রীকে আরও প্রচারের আলোয় নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছে আলিমুদ্দিনের। এদিন পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য সেলিমের (Md. Salim) সঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। জানান, জয়-পরাজয় বড় কথা নয়। যে দাবিতে লড়াই করছেন, বিশেষ করে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সেই লড়াই জারি রাখবেন। সেইজন্যই সরকারি চারি ছেড়ে পার্টির সর্বক্ষণের কর্মী হয়েছেন। ব্যক্তিগত ইচ্ছা অনিচ্ছাকে গুরুত্ব না দিয়েই। তাই পার্টি যে দায়িত্ব দেবে সেই দায়িত্ব পূরণে ঝাঁপিয়ে পড়বেন। এদিন সেলিমের সুরে সুর মিলিয়ে কমিশনের সমালোচনায় সরব হন মীনাক্ষী। কমিশন তাঁদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারছে, তা জোর গলায় বলা যাবে না বলে মনে করেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.