ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন রফার পথ খোলা রাখল রাজ্য সিপিএম। বৃহস্পতিবার রাজ্য কমিটির আলোচনায় প্রায় সব সদস্যই এবিষয়ে একমত হয়েছেন যে, রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদ – এই দুটি জেতা আসনে যেমন প্রার্থী দেবে সিপিএম, তেমনই কংগ্রেসের জেতা বাকি চারটি আসনেও তাঁরা প্রার্থী দেবে না। অর্থাৎ আসনরফার পথ খোলা রাখা হল আলিমুদ্দিনের তরফে।
কিন্তু ফ্রন্টের শরিকদের চাপে কংগ্রেসকে ১০ থেকে ১২টির বেশি আসন যে ছাড়া যাবে না, তা প্রাথমিকভাবে স্থির করে ফেলেছেন আলিমুদ্দিনের নেতারা। সূত্রের খবর, আসন রফা নিয়ে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছেন দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর মতো শীর্ষনেতৃত্ব। আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বৈঠক শেষে সূর্যকান্ত মিশ্র জানিয়েছেন, কংগ্রেসের জেতা চারটি আসনে প্রার্থী দেওয়ার মতো অবস্থা নেই দলের। বস্তুত, রাজ্য সম্পাদকের এই বক্তব্যের পরই জোটপন্থীরা কিছুটা স্বস্তিতে।
দলের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্যের কথায়, “রাজ্যে তৃণমূল ও বিজেপিকে ঠেকানোর কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই রাজনৈতিক কৌশলকে অগ্রাধিকার দিয়েই কংগ্রেস ও তৃণমূল-বিজেপি বিরোধী দলের সঙ্গে আসনরফায় যাবে পার্টি।” কংগ্রেসের সঙ্গে রফার পাশাপাশি নকশালপন্থীদেরও একটি আসন ছাড়া হবে বলে এদিনের রাজ্য কমিটির আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে নকশালপন্থী ও কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে রফার স্বার্থে কংগ্রেসের জন্য আসন সংখ্যা কমতে পারে। রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী ও কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বাম রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন রফার জন্য রাজ্য সিপিএমের শীর্ষনেতৃত্ব যেভাবে সুর চড়িয়েছে, তাতে লোকসভা ভোটে যে আসন রফা হবে তা একরকম ঠিকই ছিল। তবে কতগুলি আসন কংগ্রেসের জন্য ছাড়া হবে তা আলোচনা সাপেক্ষেই ঠিক হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিন বৈঠকের পর দলের রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতেও নির্বাচনী সমঝোতার ইঙ্গিতই মিলেছে। সূর্যকান্ত মিশ্রের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ও তৃণমূল বিরোধী সব ভোটকে একজায়গায় সমবেত করতে চাই, সেই লক্ষ্যে যে কোনও রকম পদক্ষেপ করতে আমরা প্রস্তুত।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.