বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: বৃহস্পতিবার ছাত্র-যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র ধর্মতলা চত্বরের ছবিটা স্পষ্ট এখনও। আর শুক্রবার তার প্রতিবাদে বাম নেতৃত্বের ডাকে ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্ধের মিশ্র প্রভাব পড়ল রাজ্যজুড়ে। দিনশেষে অবশ্য বন্ধের জেরে আমজনতার নাজেহাল পরিস্থিতির জন্য ক্ষমা চেয়ে নিল সিপিএম (CPM)। সাংবাদিক সম্মেলন করে সিপিএম পলিটবুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম (Md.Selim) বলেন, ”মানুষের অসুবিধার জন্য দুঃখিত, ক্ষমাপ্রার্থী। তবু সকলে স্বতস্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়েছেন।” পুলিশের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকিও দিয়েছে সিপিএম নেতৃত্ব।
বন্ধে দিনভর কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কার্যত দাপিয়ে বেড়াল বাম ছাত্র, যুব সংগঠনের সদস্যরা। নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhiyaan) পুলিশের ‘অত্যাচারে’র জবাব দিয়ে নিজেদের শক্তিপ্রদর্শনে যেন মরিয়া তাঁরা। কলকাতার যাদবপুর, মৌলালি, এন্টালিতে বন্ধের ছবিটা অনেক স্পষ্ট। এছাড়া কোচবিহার, আসানসোল, উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন প্রান্তে বন্ধের মিশ্র প্রভাব পড়েছে। শেষবেলায় আবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলিয়ে নতুন করে আন্দোলনে অক্সিজেন জোগানোর চেষ্টা করেন এসএফআই সদস্যরা। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার কলকাতার ঘটনায় দিল্লির বঙ্গভবনের সামনে প্রতিবাদ মিছিল করেছে এসএফআই। মিছিলে ছিলেন JNUSU’এর ছাত্রনেত্রী ঐশী ঘোষ। বন্ধের পর সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ নিয়ে মহিলা কমিশন, মানবাধিকার কমিশন ও আদালতে মামলা করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে বামপন্থী ছাত্র-যুব সংগঠন। অন্য সময়ে রাজ্য পুলিশের সমালোচনা করলেও বামেদের আন্দোলন দমনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে রাজ্যপাল নীরব কেন? এই প্রশ্নে সরব এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই।
বিবৃতি দিয়ে ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলি জানিয়েছে, ”জীবন-জীবিকার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র, ছাত্রী, যুবক, যুবতীদের ওপর যে নৃশংস আক্রমণ নামিয়ে আনলো এই স্বৈরতান্ত্রিক তৃণমূল সরকার, তাকে তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি আমরা। এরা বিজেপি নামক ফ্যাসিস্টদের দোসর এবং সহযোগী শক্তি।” বামপন্থী ছাত্র-যুবদের আন্দোলন দমনে পুলিশের ভূমিকার নিন্দা করে পাশে দাঁড়িয়েছেন বিশিষ্টদের একাংশ।তরুণ মজুমদার, পবিত্র সরকার, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, সব্যসাচী চক্রবর্তী, অনীক দত্ত, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়রা তুলেছেন প্রতিবাদের সুর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.