ছবি: প্রতীকী
রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: গত কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে দু’অঙ্কে পৌঁছেছে বামেদের ভোটের শতকরা হার। মহানগরীর ভোটে বিজেপিকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে সিপিএম (CPM)। তাই শহরের ভোটব্যাংকে থাবা চওড়া করতে নিচুস্তরের কর্মীদের আরও সক্রিয় করে তোলাই লক্ষ্য আলিমুদ্দিনের। তাই কলকাতার (Kolkata)বুকে জনসংযোগ নিবিড় করতে লোকাল বা এরিয়া কমিটি নয়, সিপিএমের লক্ষ্য পাড়া কমিটি। পাড়া কমিটির কর্মীদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার কৌশল নিয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।
দলীয় সূত্রে খবর, ১৩০০-র বেশি পাড়া কমিটিকে ঘরে ঘরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব। এলাকার প্রতিটা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পার্টির তরফে। সেই সঙ্গে সেই পাড়া কমিটির কর্মীদের মধ্যে দিয়ে পার্টির বক্তব্য জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়াই শুধু নয়, সিপিএম সম্পর্কে মানুষের ভাবনা কী, সেটাও জেনে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে কর্মীদের। পার্টির সদস্য বা সক্রিয় কর্মী, এলাকায় পরিচিত মুখ, সুনাম রয়েছে, এরকম তরুণদের এই পাড়ায় পাড়ায় জনসংযোগের (Mass Communication) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাড়া কমিটির থেকে সপ্তাহে রিপোর্ট নেবে কলকাতা জেলা সম্পাদকমণ্ডলী।
গত এক দশকের বেশি সময় ধরে যে কোনও নির্বাচনে বামেদের ভোটব্যাংকে রক্তক্ষরণ স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল। নামতে নামতে প্রাপ্ত ভোট তলানিতে ঠেকেছিল। বিধানসভায় শূন্যে নেমে আসে লাল পার্টির প্রাপ্তি। এহেন পরিস্থিতিতে গত ডিসেম্বরে কলকাতা পুরভোটে খাতা খোলা নিয়ে চিন্তায় ছিল বাম শিবির। কিন্তু দেখা যায়, কলকাতার ভোট লড়াইয়ে প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে গেরুয়া শিবিরকে পিছনে ফেলেছে সিপিএম। মহানগরীতে প্রাপ্ত ভোটের হার একলাফে ৮ শতাংশ বেড়েছে বামেদের। সেই সঙ্গে ৬৫টি আসনে ও ৮টি বরোতে দ্বিতীয় স্থানে বামেরা। এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হবে বলেই মনে করেন সিপিএম রাজ্য নেতারা।
এর উপর ভিত্তি করেই কলকাতায় জনসংযোগ বাড়াতে একাধিক কৌশল নেওয়া হচ্ছে। এর জন্য পাড়া কমিটিকে কাজে লাগানোর বিষয়টি কলকাতা থেকে আপাতত শুরু হলেও আগামী দিনে জেলায় জেলায় একই পথে হেঁটে জনসংযোগ বৃদ্ধির কথা ভাবছে আলিমুদ্দিন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.