সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপারিশেই চাকরি হয়েছিল বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) স্ত্রীর। বৃহস্পতিবার একটি চিঠি টুইট করে এমনটাই দাবি করেছে তৃণমূল। এবার সেই চিঠি নিয়েই প্রশ্ন তুলল বামেরা। মুখ খুললেন সুজন চক্রবর্তীও। কটাক্ষ করলেন শাসকদলকে।
বিষয়টা ঠিক কী? বৃহস্পতিবার সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরির নথি প্রকাশ্যে আনে তৃণমূল। ১৯৮৭ সালের ১ আগস্ট থেকে দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে ইনস্ট্রুমেন্ট কিপার পদে চাকরিতে যোগ দেন সুজনবাবুর স্ত্রী মিলি ভট্টাচার্য। সেই মর্মে কলেজের অধ্যক্ষকে লেখা তাঁর চিঠিটি নথি হিসেবে তুলে ধরেছে তৃণমূল, টুইট করে। অভিযোগ, পরীক্ষাও দেননি তিনি, কোথাও কোনও নামও ছিল না। স্রেফ সুপারিশের ভিত্তিতেই ওই চাকরি হয়েছিল তাঁর। মোটা অঙ্কের বেতনও পেতেন। বর্তমানে পেনশন পান।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই চিঠি। দেখা যাচ্ছে, যেটিকে হাতিয়ার করে সুপারিশের অভিযোগ করা হচ্ছে তা জয়েনিং লেটার। এ বিষয়ে সুজন চক্রবর্তী বলেন, “কোনও সমস্যা তো দেখতে পাচ্ছি না। এটা আমার স্ত্রীর জয়েনিং লেটার। টুইটে পেনশনের উল্লেখ আছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পেনশন তো পাওয়ারই কথা। তৃণমূল যদি সমস্যাটা তুলে ধরে তাহলে বুঝতে সুবিধা হয় যে কোথায় অসংগতি রয়েছে।” উলটে সুজন বাবু বলেন, “৮৭ সালের একটি জয়েনিং লেটারও রয়েছে। তাহলে আপনারাই দেখুন গোটা বিষয় কতটা স্বচ্ছ।”
এদিকে তৃণমূলের তরফে টুইট করা চিঠিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছেন বামেদের একাংশ। প্রথমত, ৮৭ সালের ওই চিঠিটিকে অথেনটিকেট করা হয়েছে ২০২০ সালে, কিন্তু? চিঠিতে রয়েছে কলকাতা, কিন্তু ১৯৮৭ সালে ক্যালকাটা না করে কোলকাতা (KOL) ব্যবহার হত কি? সব মিলিয়ে এই চিঠিকে কেন্দ্র করে সরগরম রাজনৈতিক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.