রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বোলপুরের পর এবার রামপুরহাট (Rampurhat)। বীরভূমে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের আরও একটি স্টপেজ চেয়ে উঠল দাবি। শুক্রবার বঙ্গে ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেসের (Vande Bharat Express) যাত্রা শুরুর দিন নতুন দাবি তুললেন সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya)। এ প্রসঙ্গে তিনি তারাপীঠ পর্যটন সার্কিটের কথা উল্লেখ করে রেলমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন।
এর আগে বোলপুরে স্টপেজ চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর দাবি মেনে বোলপুরে থামবে ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেস। এদিকে, যাত্রা শুরুর দিন বোলপুরেই জোর করে যাত্রীরা ট্রেনে উঠতে গেলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। আরপিএফের সঙ্গে জনতা ধস্তাধস্তি শুরু হয়। দিনের শুরুতে ডানকুনি স্টেশনেও ট্রেন থামলে এ ধরনের অশান্তি তৈরি হয়।
হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি (Howrah-NJP) রুটে নতুন ট্রেন হিসেবে নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে যাত্রীদের জন্য চালু হয়ে যাবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। গতি কতটা হবে, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস হাওড়া থেকে রওনা হয়ে প্রথম থামবে বর্ধমানে। তারপর স্টপেজ দেওয়া হয়েছে বোলপুর। এর পাশাপাশি মালদহ টাউন এবং বারসোই স্টেশনেও দাঁড়াবে এই সেমি হাই স্পিড ট্রেন। কিন্তু নতুন করে তা রামপুরহাট স্টেশনে দাঁড় করানোর দাবি তুললেন রাজ্যসভার সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিয়ে বিজেপি (BJP) রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। সুকান্ত মজুমদারের দাবি মেনে বোলপুরে স্টপেজ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি। কিন্তু এবার সিপিএম নেতার দাবি মেনে রামপুরহাটে যদি স্টপেজ দেওয়া হয়, তাহলে রাজনীতির অভিযোগ তেমন জোরাল থাকে না। এদিকে, প্রথমদিনই একাধিক স্টেশনে বন্দে ভারতে সফর নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখা দিল। ডানকুনিতে তা থামলে ট্রেনে উঠে জনগণ হইহুল্লোড় শুরু করে দেন। তাতে ট্রেন ছাড়তে দেরি হয়। এরপর আবার বীরভূমে একই সমস্যা হয়। সুতরাং, যাত্রা যে খুব মসৃণভাবে শুরু হল, তা বলা হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.