Advertisement
Advertisement
CPM

বসতিতে ফিকে লাল! ‘পুরুষতান্ত্রিক’ সিপিএমে অভাব তারুণ্যেরও, উল্লেখ কলকাতা জেলার প্রতিবেদনে

কলকাতা শহরে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘাঁটিগুলিতেই এখন পার্টির অস্তিত্বের সংকট। শনিবার সেই নিয়েই 'মন্থন' হতে পারে পার্টির কলকাতা জেলা সম্মেলনে।

CPM Kolkata article focuses on lack of youth and women
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 3, 2025 2:35 pm
  • Updated:January 3, 2025 2:40 pm  

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: সংগঠনে মহিলা সদস্য সংখ্যা কমছে। ক্রমশ পুরুষতান্ত্রিক হয়ে উঠছে পার্টি। উদ্বেগ প্রকাশ করা হল সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্মেলনের প্রতিবেদনে। পার্টির প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য ও পরিসংখ্যান বলছে, দলে মহিলার সংখ্যা যেমন কমছে, তেমনই হু হু করে কমছে তরুণ সদস্য সংখ্যাও। যা পার্টির জন্য গভীরভাবে উদ্বেগের ব্যাপার। তবে দলের জন্য যেটা আরও উদ্বেগজনক সেটা হল কলোনি অঞ্চলগুলিতে সাংগঠনিক দুর্বলতা।

পার্টির কলকাতা জেলা সম্মেলনের পেশ হতে চলা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দলে মহিলা সদস্য সংখ্যা ক্রমশ কমছে। পুরুষদের আধিক্যের কারণও আধিপত্য। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, মহিলা সদস্যদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। কোথাও গিয়ে মহিলা সদস্য সংগ্রহেও ঘাটতি থাকছে। একই রকম ভাবে ৩১ বছরের কম বয়সি তরুণ সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রেও চরমে দৈন্য। দলের প্রতিবেদন বলছে, ৩১ বছরের কম বয়স এমন তরুণদের দলে যুক্ত করার ক্ষেত্রে ত্রুটি রয়েছে। প্রশ্ন উঠতে পারে সোশাল মিডিয়ায় তো এখনও বহু তরুণ বামেদের হয়ে গলা ফাটান? প্রতিবেদন বলছে, ওই গলা ফাটানো মূলত প্রচারের আলোয় থাকার জন্য। সংগঠনের কাজ করার মতো তরুণের অভাব চূড়ান্ত। বস্তুত মহিলা এবং তারুণ্যহীন ‘পুরুষতান্ত্রিক’ দল হয়ে উঠছে সিপিএম।

Advertisement

ওই প্রতিবেদনে সার্বিকভাবে মহানগরে মহাসংকটের কথা বলা হয়েছে। একসময় যে কলোনি বা বসতি এলাকাগুলিকে সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে দেখা হত সেই এলাকাগুলিতেই এখন পুরোপুরি ফিকে লালরং। সিপিএমের কলকাতা জেলার এক নেতা বলছেন, “একটা সময় বসতি এলাকা ছিল সংগঠনের আঁতুড়ঘর। সেখানেই আমাদের ঝান্ডা ধরার লোক নেই।

দলের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, উত্তর কলকাতার বসতি এলাকাগুলিতে দলের সংগঠন মৃতপ্রায়। বেলেঘাটা, মানিকতলা, চেতলা, বালিগঞ্জ, পার্ক সার্কাস-সহ শহরের সব প্রান্তেই বস্তিতে সিপিএম দুর্বলতার চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই এলাকাগুলিতে নিয়মিত দলীয় কার্যালয় গুলি খোলার লোকটাও জুটছে না। দক্ষিণের অবস্থাও তথৈবচ। তবে টালিগঞ্জ, যাদবপুর, কসবার বসতি এলাকাগুলিতে অন্তত লাল ঝান্ডা ধরার মতো পক্ককেশ কিছু নেতার সন্ধান পাওয়া যায় বটে, কিন্তু ওই পর্যন্তই। এক সময় যে দলীয় কার্যালয়গুলিতে সন্ধ্যা হলেই লোকারণ্য পরিস্থিতি হত, সেগুলিতেই এখন প্রতি সন্ধেয় ২-৩ জন করে ‘বৃদ্ধ’ কমরেড  প্রদীপ জ্বালান। এর বাইরে বিশেষ কর্মসূচি বা সাংগঠনিক শক্তি নেই। সব মিলিয়ে কলকাতা শহরে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘাঁটিগুলিতেই এখন পার্টির অস্তিত্বের সংকট। শনিবার সেই নিয়েই ‘মন্থন’ হতে পারে পার্টির কলকাতা জেলা সম্মেলনে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement