স্টাফ রিপোর্টার: এবার কমিশনকেই প্রতিরোধের বার্তা সিপিএমের। সিপিএম বলেছে, কমিশন নিরপেক্ষ নয়। পক্ষপাতদুষ্ট। তাই ভোট দিতে না পারলে প্রতিরোধ করবে জনগণ। তবে এবারের ভোটে বামেরা রাজ্যে কতগুলি আসন পাবে তা কার্যত এড়িয়ে গিয়েছেন ইয়েচুরি।
নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে আগেই অভিযোগ করেছিল সিপিএম। অন্যান্য দলের মতো কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল বামেরাও। শুক্রবার আরও একবার সেই অভিযোগ করে সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি দলের রাজ্য দপ্তরে বলেছেন, “মানুষের ভোট দিতে সমস্যা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার অভাব রয়েছে। তাই কমিশনকে নিজের নিরপেক্ষ অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে।” রাজ্যে ভোটপ্রচারে এসে দলের রাজ্য দপ্তরে কমিশনকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করার পাশাপাশি ইয়েচুরি বলেছেন, মুখে দেশপ্রেমের কথা বললেও তুলনামূলকভাবে পাক হানা বেশি হয়েছে বিজেপির আমলেই।
এদিন শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে মারমুখী ছিলেন সীতারাম। দেশে চতুর্থ দফার ন’টি রাজ্যের ৭১টি কেন্দ্রে ভোটের আগে ইয়েচুরির অভিযোগ, মানুষ ভোট দিতে তৈরি। কিন্তু ভোট দিতে পারছে না কমিশনের সদর্থক ভূমিকার অভাবে। তাঁর কথায়, স্বাধীন ভারতে এই প্রথম কমিশনের মতো সাংবিধানিক সংস্থাকে ডেকে পাঠিয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এমন ঘটনা অভূতপূর্ব। তাই ভোট দিতে না পারলে পালটা প্রতিরোধও হবে বলে জানিয়েছেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক। কারণ কমিশনের ভূমিকার বদল হয়নি। সেই প্রসঙ্গ এনে সীতারাম এদিন বলেছেন, অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে মানুষ কতটা ভোট দিতে পারবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তাই গণতন্ত্রের স্বার্থে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।
কমিশনের কাজ নিয়ে খড়্গহস্ত হওয়ার পাশাপাশি বিজেপির ‘দেশপ্রেম’ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন সীতারাম। তাঁর অভিযোগ, দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের তুলনায় গত পাঁচ বছরে বিজেপি সরকারের আমলেই দেশে পাক হানা বেশি হয়েছে। পরিসংখ্যান দিয়ে ইয়েচুরি বলেছেন, দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের সময় ১৩৯ জন জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। তুলনায় বিজেপির পাঁচ বছরে ২৪,৮৮৩ জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন। দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের আমলে ১২টি সংঘর্ষবিরতি হয়েছিল। তুলনায় গত পাঁচ বছরে সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ২১৬টি। তাই বিজেপি মুখে দেশপ্রেমের কথা বললেও পাক হানা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে।
রাজ্যে বাম-কংগ্রেস আসনরফা ব্যর্থ হয়েছে। সেই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক হিসাবে অভিহিত করার পাশাপাশি কংগ্রেসকে আরও একবার বার্তা দিয়েছেন ইয়েচুরি। তাঁর দাবি আসনরফা করতে গেলে বামেদের সঙ্গেই করতে হবে। আগের মতোই এদিনও রাজ্যে বিজেপি ও শাসক তৃণমূলের মধ্যে সখ্য রয়েছে বলে এদিনও অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “কলকাতায় কুস্তি আর দিল্লিতে দোস্তি করছে দুই দল।” রাজ্যে কতগুলি আসন বামেরা পাবে? এই প্রশ্নের অবশ্য কোনও উত্তর দেননি ইয়েচুরি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.