স্টাফ রিপোর্টার: পঞ্চায়েত ভোটে নিচুতলায় বিজেপির সঙ্গে সমঝোতা করলে দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দিয়েছে সিপিএম (CPIM)। কিন্তু সেই বার্তার পরও তৃণমূলকে ঠেকাতে নিচুতলায় বিজেপির হাত ধরতেই আগ্রহী স্থানীয় নেতা-কর্মীদের একটা বড় অংশ। পার্টির স্থানীয় নেতারাও এই গোপন সমঝোতার পক্ষে সওয়াল করছেন। এমনই খবর পার্টি সূত্রে। ফলে নিচুতলায় এই বিজেপি ছোঁয়াচ এড়ানো যাবে কী না, তা নিয়ে সংশয়ে আলিমুদ্দিনও। উলটে সিপিএম নেতারা পরামর্শ দিচ্ছেন, গ্রামেগঞ্জে হারানো ভোটব্যাংক ফেরাতে যে বামপন্থীরা দুরে সরে গিয়েছে তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাম-বিজেপি সমঝোতা নিয়ে শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে। পূর্ব মেদিনীপুরের কয়েকটি সমবায় নির্বাচনে রাম-বাম সমঝোতা সামনে এসেছে। রাজ্য নেতাদের চোখ এড়িয়ে যেভাবে নিচুতলায় এই বোঝাপড়ার সমীকরণ তৈরি হচ্ছে, তাতে স্পষ্ট পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে আটকাতে বাম-রাম প্রয়োজনে তলে তলে আঁতাত করবে। আর এক্ষেত্রে বিজেপির প্রছন্ন মদতও রয়েছে।
তৃণমূলকে আটকাতে যেখানে নিজেদের সংগঠন নেই সেখানে সিপিএমকে সমর্থন করার গোপন কৌশল নিয়েছে গেরুয়া শিবিরও। বিজেপির নমনীয় মনোভাব উৎসাহিত করছে স্থানীয় বাম (Left Fornt) নেতাদের। সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, নিচুতলার বিষয়টা আলাদা। অফিসিয়ালি আমরা জোটের কথা বলিনি। অর্থাৎ, নিচুতলায় বামেদের সঙ্গে গোপন সমঝোতায় আপত্তি নেই বিজেপির শীর্ষ নেতাদের। কারণ, অধিকাংশ বুথেই বিজেপির সংগঠন নেই। ফলে সেখানে তৃণমূলকে আটকাতে বামেদের হাত ধরার ক্ষেত্রে কোনও আপত্তি নেই বিজেপির জেলা নেতাদেরও।
রাজ্যজুড়ে চলতে থাকা সিপিএমের পদযাত্রাতে মানুষের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি জেলা নেতাদের। কিন্তু আগামীদিনে চলে যাওয়া ভোট ব্যাংক ফেরানোর পাশাপাশি বুথে বুথে কতটা সংগঠন গড়ে তোলা সম্ভব হবে সেটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। পার্টি সূত্রে খবর, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে ১৫টিরও বেশি জেলায় নিচুতলার সাংগঠনিক শক্তি খুবই দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে পরিস্থিতি তুলনামূলক ভাল। কাজেই জেলায় জেলায় শক্তি বৃদ্ধিতে বৃহত্তম মঞ্চ গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও উদ্যোগী হতেও বলা হয়েছে সর্বশেষ পার্টি চিঠিতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.