বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: লোকসভা, বিধানসভার পর পুরভোট (WB Civic Polls 2022)। নিদারুণ খারাপ ফলের জন্য নিচুতলার নেতাকর্মীদের ওপর দায় চাপাল আলিমুদ্দিনের ভোট ম্যানেজাররা। প্রসঙ্গ বুথ কমিটি। ভোট এলে তবেই তড়িঘড়ি বুথ কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ফলস্বরূপ অনেক বুথে থাকছে না পোলিং এজেন্ট। নিচুতলার শাখা ও এরিয়া কমিটির উদ্যোগের অভাবেই এমন প্রবণতা বলে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক দলিলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এলাকার লড়াকু সদস্য ছাড়াও স্থানীয় মানুষকে যুক্ত করে বুথ কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটির সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে অবহিত করতে হবে নেতৃত্বকে। বারবার নির্দেশ পাঠানোর পরেও নিচুতলার নেতৃত্ব কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে না। সিংহভাগ বুথে কমিটি গঠন করা হয়নি। যেখানে কমিটি রয়েছে সেখানে দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে না। যখন ভোট ঘোষণা করা হয় তখন বুথ কমিটি গঠনে উদ্যোগী হচ্ছে। ফলে ভোটের দিন বহু বুথ ফাঁকা থাকছে। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ না থাকার ফলে এমন ঘটনা ঘটছে।
সম্প্রতি দু’টি পুরভোটে এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। কিন্তু বারবার নির্দেশ পাঠানোর পরেও এই বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি বলে খসড়া দলিলে নিচুতলার নেতৃত্বকে দুষল সিপিএম। বুথ কমিটি গঠন নিয়ে কমরেডকুলের নেতাদের এমন মনোভাবে ক্ষুব্ধ পার্টির জেলা নেতৃত্ব। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দক্ষিণবঙ্গের এক জেলা কমিটির সদস্য জানান, পুরভোটে শাসকদল কি করেছে রাজ্যের মানুষ জানে। কিন্তু দেখে শুনে মনে হচ্ছে আলিমুদ্দিনের কর্তারা চোখ-কান বন্ধ করে বসে আছেন।
যদিও সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর মতে, বুথ কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে শিথিলতা থাকলেও ভোটের দিন সব বুথেই এজেন্ট দেওয়ার চেষ্টা হয়। কিন্তু কোনওভাবে এজেন্টের নাম প্রকাশ হলেই শাসকদলের হুমকির মুখে পড়তে হয়। এমনকি পুলিশকে দিয়ে শাসান হচ্ছে বলে অভিযোগ সুজনের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.