রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বাংলায় তৃণমূলের বিরোধিতা চলবে। কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপিকে হারাতে ‘INDIA’ জোটে তৃণমূলের থাকাতে আপত্তি দেখছে না সিপিএম। দলীয় নেতৃত্বের এই দ্বিমুখী নীতিতে বিভ্রান্ত সিপিএমের (CPIM) নিচুতলার কর্মীরা। যার আঁচ প্রতিনিয়ত দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কর্মীরা ক্ষুব্ধ, নীচুতলার নেতারাও বিভ্রান্ত। নীচুতলার সেই ক্ষোভ এবং বিভ্রান্তি মেটাতে এবার আসরে নামছে সিপিএম।
সিপিএম সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর্যালোচনা করতে যখন জেলায় জেলায় দলীয় সদস্যদের নিয়ে সাধারণ সভা হবে, সেখানে মূল আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠতে পারে ‘ইন্ডিয়া’। কোন ভাবনা থেকে সর্বভারতীয় স্তরে বৈঠকে যেতে হচ্ছে। তৃণমূলের সঙ্গে মঞ্চ ভাগই বা কেন করতে হচ্ছে তা বোঝানো হবে তা দলের কর্মী-সমর্থকদের।
দেশকে বাঁচাতে হলে বিজেপিকে (BJP) হঠাতে হবে। ফলে জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে একটি ধর্মনিরপেক্ষ, বিকল্প বোঝাপড়া জরুরি। একারণেই ২৬ ধলের ভিত্তিতে গঠন করা হয়েছে ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স’ বা ‘ইন্ডিয়া’। তাতে আছে তৃণমূলও (TMC)। তবে রাজ্যের ক্ষেত্রে অবস্থান অন্য। এমনটাই দাবি সিপিএমের। মুশকিল হল, নেতাদের এই বুলি নীচুতলার কর্মীরা বুঝতে চাইছেন না। সেকারণেই এবার বাম নেতৃত্ব ঠিক করেছে পঞ্চায়েত পর্যালোচনা বৈঠককে মূলত পার্টির অবস্থান স্পস্ট করার বৈঠকে পরিণত হবে।
আগামী মঙ্গল ও বুধবার দলের রাজ্য কমিটির বৈঠক। সেখানেও ইন্ডিয়া সম্পর্কে নীচুতলায় কীভাবে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা হবে বলে খবর। সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (Sitharam Yechuri) আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বিজেপি বিরোধী সমন্বয় সব রাজ্যে এক হবে না। পশ্চিমবঙ্গে বাম ও কংগ্রেস লড়াই করবে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধেই। সেটাই এবার কর্মীদের বোঝাবে সিপিএম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.