রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: লোকসভা ভোটের আগে যুব সংগঠনের ডাকা ব্রিগেডে জমায়েত নিয়ে সংশয়ে থাকা রাজ্য সিপিএম পার্টির সমস্ত সদস্যদেরই সমাবেশে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক করল। পার্টি সূত্রে এমনটাই খবর। প্রশ্ন, তরুণ প্রজন্মের ঢল নামবে না, সেই আশঙ্কা থেকেই কি যুবদের ব্রিগেডে সমস্ত ফ্রন্টের প্রবীন পার্টি সদস্য থেকে নেতৃত্বের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করতে হল? এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের বড় অংশই।
রাজ্যপাট চলে যাওয়ার পর দলের সাফল্যের গ্রাফ নিচের দিকে। একক শক্তিতে ব্রিগেড ভরানো কতটা সম্ভব, তা নিয়ে সন্দিহান নেতারাই। একুশের বিধানসভা ভোটে রাজ্যের শূন্য বামেরা। পার্টির শাখা সংগঠনের অবস্থাও ন়ড়বড়ে। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটের (Lok Sabha) আগে শুধুমাত্র যুব সংগঠনের ব্যানারে ব্রিগেড ডাকা নিয়ে পার্টির একাংশের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে।
ইনসাফ যাত্রার পর ৭ জানুয়ারি ডিওয়াইএফআইয়ের (DYFI) ব্রিগেড সমাবেশে জমায়েত ভাল না হলে লোকসভা ভোটের আগে সিপিএমেরই মুখ পুড়বে বলে মনে করছে দলের একাংশ। বিভিন্ন জেলা পার্টি থেকেই এই আশঙ্কার কথা প্রথমেই জানানো হয়েছিল আলিমুদ্দিনকে। অনেকের কথায়, ছাত্র-যুব সমাবেশ ডেকে ধর্মতলা ভরানো আর ব্রিগেড ভরানো এক বিষয় নয়।
পার্টি সূত্রে খবর, এই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই নবীনদের ব্রিগেডে প্রবীনদের জমায়েত বাধ্যতামূলক করে নির্দেশ দিতে হয়েছে রাজ্য সিপিএমকে। পার্টির সমস্ত শাখাকে বলা হয়েছে সদস্যদের প্রত্যেককে ব্রিগেডে যেতেই হবে। একইভাবে সংগঠন দুর্বল হলেও শ্রমিক, কৃষক ও মহিলা শাখার নেতৃত্বকেও ব্রিগেডে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও পার্টি সদস্য যদি ৭ জানুয়ারি, সমাবেশে হাজির না থাকেন তাহলে তাঁকে অনুপস্থিতির উপযুক্ত কারণ দেখাতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.