Advertisement
Advertisement
করোনা

করোনা নিয়ে বৈঠকে নবান্নে বাম নেতারা, সবরকম সাহায্যের আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীকে

করোনা মোকাবিলায় বাম নেতাদের পরামর্শও শোনেন মুখ্যমন্ত্রী।

CPIM leader's meet CM Mamata Banerjee at Nabanna on Tuesday
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:April 7, 2020 9:35 pm
  • Updated:April 7, 2020 9:35 pm  

ক্ষীরোদদীপ্তি ভট্টাচার্য: করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় রাজনীতির ভাগাভাগি ভুলে বামেদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে বাম নেতৃত্বও। তাঁদের বক্তব্য, “এই সময়ে রাজ্য সরকারের পাশে থেকে সব রকমের সহযোগিতা করব।”

৩১ মার্চ রাজ্য বামফ্রন্টের বৈঠকে ঠিক হয় করোনা ভাইরাসের (Corona virus) প্রকোপ আটকাতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী এদিন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর (Biman Bose) নেতৃত্বে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র (Surjya Kanta Mishra) ও অন্য বাম নেতারা নবান্নে যান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে আলোচনা করেন তাঁরা। আলোচনায় ছিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরির নামের ‘হোম কোয়ারেন্টাইন’ নোটিস ডাকঘরের দেওয়ালে! তুঙ্গে বিতর্ক]

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বিমান বসু (Biman Bose), সূর্যকান্ত মিশ্রর মতো সিপিএম নেতাদের প্রায় সব বক্তব্য গুরুত্ব দিয়ে শোনেন। নিজে নোট নেন। আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী সূর্যকান্ত মিশ্রকে বলেন, “আপনি একসময়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। নিজেও চিকিৎসক। আপনার কী প্রস্তাব বলুন।” সূর্যবাবু স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রস্তাব দেন। বলেন, “লকডাউন প্রত্যাহারের পর ভিনরাজ্য ও বিদেশ থেকে ব্যাপকহারে মানুষ রাজ্যে আসতে চাইবেন। এঁদের মধ্যে বেশিরভাগ পরিযায়ী শ্রমিক। রাজ্যে ঢোকার সময় তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করা জরুরি।” সূর্যবাবু আরও বলেন, “লকডাউনে ভাইরাসের সংক্রমণ যতটা ঠেকানো সম্ভব হয়েছে তা যাতে নষ্ট না হয়।” মুখ্যমন্ত্রী তাতে সহমত পোষণ করেন। সিপিআই রাজ্য সম্পাদক ইটভাটা ও বিড়ি শ্রমিকদের প্রসঙ্গ তোলেন। পরে স্বপনবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাদের প্রতিটি বক্তব্য গুরুত্ব ও সহানুভূতির সঙ্গে শুনেছেন। নোট নিয়েছেন। মুখ্যসচিবকেও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা খুশি।”

বামফ্রন্ট নেতাদের বক্তব্য, এখন থেকে সাতজন বিড়ি শ্রমিক একসঙ্গে কাজ করতে পারবেন। বিক্রি করতে না পারায় ফুলচাষিরা সমস্যায়। ইটভাটাতেও কাজ বন্ধ। আগুন জ্বালানো যাচ্ছে না লকডাউনের জন্য। মুখ্যমন্ত্রী এইসব বিষয় সহানুভূতির সঙ্গে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। ফরোয়ার্ড ব্লক রাজ্য সম্পাদক মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অসংগঠিত শ্রমিকদের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তাঁর কথায়, “এখন আর বিরোধী নই। আমরাও সরকারের অঙ্গ।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সীমিত ক্ষমতার মধ্যে রাজ্যকে লড়াই করতে হচ্ছে। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।” তবে এর মধ্যেই আলোচনার সুর কাটে বিমান বসুর একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে। এদিন বিমান বসুও করোনা সংক্রমণে তথ্য না পাওয়ার অভিযোগ করেন।

[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে আলো জ্বালালেও মেটেনি অন্ধকার! সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত রেলকর্মীরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement