বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: আন্দোলনে আছে, কমিটিতে নেই। আবার অনেক মুখ কমিটিতে আছে, আন্দোলনে নেই। এটাই এখন সিপিএমের কলকাতা জেলার (CPIM Kolkata District) আলোচনার অন্যতম বিষয়বস্তু। কেন আরও ছাত্র-যুবর কলকাতা জেলা কমিটিতে স্থান হল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সারাবছর আন্দোলনে থাকা অনেক মুখ বাদ পড়েছে। আবার পুলিশের লাঠির ভয়ে পিঠ বাঁচিয়ে চলা নেতারা জায়গা করে নিয়েছেন জেলা কমিটিতে। কেন এমন হচ্ছে? পার্টির অন্দরে মাথাচাড়া দিয়েছে সেই প্রশ্ন।
ঢাকঢোল পিটিয়ে কমিটিতে থাকার বয়সসীমা বেঁধে দিয়েছে একেজি ভবন (AKG Bhawan)। সেইসঙ্গে কমিটিতে ছাত্র-যুব ও মহিলাদের কোটাও নির্ধারিত করেছেন কমরেডকুলের শীর্ষনেতারা। বেঁধে দেওয়া বয়সসীমা ও কোটা কঠোরভাবে পালনের নির্দেশ দিয়েছে আলিমুদ্দিন (Alimuddin Street)। সম্মেলন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে পার্টির নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার কাজ চলছিল। কিন্তু থমকে গেল মহানগরে। আলিমুদ্দিনকে বুড়ো আঙুল দেখালেন কলকাতার নেতারা।
সম্মেলন শেষে যে কমিটি গঠন করা হল, তাতে চোখ রাখলেই স্পষ্ট হয় ‘দাদাদের দাদাগিরি’। তালিকায় ঘুরে ফিরে এসেছে পুরনো মুখ। জায়গা হয়নি সারাবছর ঘাম-রক্ত ঝরিয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করা ছাত্র-যুবদের। জায়গা পেয়েছেন এমন ব্যক্তিরা যাদের সাধারণত দেখা যায় ভোটের আগে পার্টির প্রার্থী তালিকায়। সে পুরভোট হোক বা লোকসভা। কিন্তু জঙ্গি আন্দোলনে বিশেষ দেখা পাওয়া যায় না এদের। গারদে ঢোকার ভয়ে জঙ্গি আন্দোলন শুনলেই পিঠটান দেন।
যেমন রুপা বাগচি, ফৈয়াজ আহমেদ খান বা দেবেশ দাস। যথারীতি এবারও জেলা কমিটির যে তালিকা প্রকাশ করা হয় তার ওপরের দিকে স্থান পেয়েছে। কিন্তু জায়গা হয়নি যুব সংগঠনের জেলা সম্পাদক পৌলভী রায়, বিকাশ ঝা, বর্ণনা মুখোপাধ্যায়, দেবাঞ্জন দে’র মতো ছাত্র-যুবদের। কেন জায়গা হল না তার সদুত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনের কর্তারা। পাছে নেতৃত্বের রোষানলে পড়েন তাই এরাও মুখ খুলতে চাইছেন না। কিন্তু ক্ষোভ গোপন করেননি। অনেকেই ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ জানিয়েছেন। সিপিএম (CPIM) রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য জানান, এমনটা হওয়ার কথা নয়। তবে অনেক সময়ই সম্মেলনের পরে জেলা কমিটির বৈঠকে কয়েকজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.