রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: লোকসভা ভোটের আগে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে জনসংযোগে নয়া কর্মসূচি নিল সিপিএম। এলাকার বেহাল রাস্তাঘাটের ছবি বা ভিডিও তুলে নেটমাধ্যমে হ্যাশট্যাগ ‘পথের দাবি’ লিখে সেখানে শেয়ার করতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ, স্থানীয় ইস্যুগুলিকেই প্রচারের অস্ত্র করতে চাইছে সিপিএম। আর এই নয়া জনসংযোগের কৌশল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দলের মধ্যেই। নেটমাধ্যমে ‘নজরে পঞ্চায়েত’ থেকে শুরু করে ‘পাহারায় পাবলিক’-এর মতো জনসংযোগ কর্মসূচি চালু করেও দলের রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়নি। সোশ্যাল মাধ্যমে ঢাকঢোল পিটিয়ে গ্রাম জাগানোর বার্তা দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটেও যেমন আশানুরূপ ফল হয়নি। তারপর ধূপগুড়ির উপনির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেও জমানত জব্দ হয়েছে।
ফলে সিপিএমের অন্দরে প্রশ্ন, ‘পথের দাবি’ প্রচার শুরু হলেও দলের রক্তক্ষরণ কেন বন্ধ হচ্ছে না, ভোট কেন বাড়ছে না, তার পর্যালোচনা কই, সেই দাবি উঠেছে পার্টির অভ্যন্তরে। বুথে লোক কই, ভোটবাক্সে ভোট কই? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সিপিএমের অন্দরে। পঞ্চায়েতে খারাপ ফল, ধূপগুড়িতে বিপর্যয়ের পরও তার উত্তর সঠিকভাবে দিতে পারেনি আলিমুদ্দিন। পার্টির সভা-সমাবেশে লোক হচ্ছে। কিন্তু তারা ভোট দিচ্ছে কোথায়? ভোট তো চলে যাচ্ছে তৃণমূল আর বিজেপিতে। আগে এই রোগের দাওয়াই চাই পার্টিতে, কট্টরপন্থীরা এমনই দাবি তুলেছে। ‘পথের দাবি’ নাম দিয়ে এই জনসংযোগ কৌশলটি নিজের ফেসবুকে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘সিপিএমের একটাই আছে গল্প দাদুর আসর। সিপিএম কী করে শূন্য পেল সেলিম সেটাই বোঝাবেন। এর বাইকরে আর কি হবে?’’ এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ‘পথের দাবি’ কর্মসূচির কথা ব্যাখ্যা করে কমেন্ট বক্সে সমালোচনাও শুনতে হয়েছে সেলিমকে। জনৈক মন্তব্য করেছেন, ‘আর মুখ খুলবেন না আপনারা (সিপিএম)। মানুষ ৩৪ বছর সব দেখেছে বলেই সিপিএমের জমানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে সর্বত্র’। শাসকদলের কটাক্ষ, বাম আমলে রাস্তা আর পানীয় জল নিয়ে সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল মানুষের। বামেরা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তৃণমূল সরকার এসে রাজ্যে রাস্তাঘাট আর পানীয় জলের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। শহরের পাশাপাশি গ্রামে-গঞ্জে গেলেই তার প্রমাণ মিলবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.