Advertisement
Advertisement

Breaking News

CPM

‘আন্দোলন প্রত্যাহার করুন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবটাই দেখবে’, DA বিক্ষোভকারীদের আহ্বান তৃণমূলের

আমরা কখনও বলিনি ডিএ দেব না, বলছেন মানস ভুঁইয়া।

CPIM and BJP making controversy about DA, says TMC | Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি।

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:February 19, 2023 1:13 pm
  • Updated:February 19, 2023 1:14 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মীদের একাংশের কর্মবিরতির কর্মসূচি ব্যর্থ করতে আগেই আসরে নেমেছে সরকার। এবার দল হিসাবে তৃণমূলও এই কর্মবিরতির বিরোধিতা করল। তৃণমূলের কর্মচারী সংগঠনের চেয়ারম‌্যান ডাঃ মানস ভুঁইয়া বললেন, ডিএ নিয়ে যে বিক্ষোভ হচ্ছে, সেটা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এর নেপথ্যে রয়েছে বামেরা। ষড়যন্ত্রে শামিল বিজেপি এবং কংগ্রেসও।
বকেয়া ডিএ’র (DA) দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি কর্মীরা সরব। সদ্য হয়ে যাওয়া রাজ্য বাজেটে ৩ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর পরও সরকারি কর্মীদের আন্দোলনে ইতি পড়েনি। কারণ, নয়া হারে ডিএ ঘোষণার পরও কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ’র ফারাক অনেকটাই বেশি। প্রাপ্য না মিটলে আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরে আসবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের যৌথ মঞ্চ। তাদের তরফে আগামী সোম ও মঙ্গল অর্থাৎ ২৯ ও ২১ ফেব্রুয়ারি সম্পূর্ণ কর্মবিরতি বা পেন-ডাউনের ডাক দেওয়া হয়েছে।

[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের আগে সংগঠন চাঙ্গা করাই লক্ষ্য, এবার যুব মোর্চাকে গ্রামমুখী করছে বিজেপি]

যার পালটা পদক্ষেপ করেছে নবান্নও। আগামী সোম ও মঙ্গলবার অর্থাৎ ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি কর্মীদের সমস্ত ছুটি বাতিল করেছে রা‌জ‌্য সরকার। যাঁরা এই দু’দিন বা কোনও একদিন কাজে আসবেন না, তাঁদের চাকরিজীবন থেকে একটি দিন বাদ যাবে বলে জানানো হয়েছে। সরকারের সেই পদক্ষেপের পর আবার আসরে নেমেছে তৃণমূল। সরকারি কর্মীদের কোনওরকম প্ররোচনায় পা না দিয়ে কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মানস ভুঁইয়া। তাঁর বক্তব্য, “আন্দোলনকারীরা অবস্থান প্রত্যাহার করুন। কাজে যোগ দিন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহানুভূতিশীল। তিনি সবটাই দেখবেন।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ১৫ লক্ষে শিক্ষক, ১২ লক্ষে গ্রুপ-ডি, নিয়োগের রেট বেঁধেছিল ‘সৎ রঞ্জন’, টাকা তুলত এজেন্টরা]

মানস ভুঁইয়া বলছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই বিক্ষোভ হচ্ছে। এর নেপথ্যে বামেরা। তাঁর বক্তব্য, আমরা DA দেব না কখনওই বলিনি। অবশ্যই দেব। আর্থিক সংস্থান হলেই ডিএ দেব। মুখ্যমন্ত্রী সহানুভূতির সঙ্গে ভাবছেন সেটা। ৩৪ বছরের বিধ্বংসী বাম শাসনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েক লক্ষ কোটি টাকা ঋণের ভার নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। তা সত্ত্বেও তিনি ধীরে ধীরে এগোচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী কখনওই বলেন না যে ডিএ দেব না। আমরা বেসিক স্যালারির সঙ্গে ডিএ কে সংযুক্ত করে দিয়েছি। এরপরই সরকারি কর্মীদের উদ্দেশ্যে পালটা প্রশ্ন ছোঁড়েন মানস। তাঁর প্রশ্ন, রাজ্য সরকারি কর্মীরা কী কখনও ভেবেছেন? কেন্দ্র সরকার রাজ্যের কত টাকা আটকে রেখেছে। আজ কেন্দ্র সরকার রাজ্য সরকারকে আর্থিকভাবে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা আসছে না। জিএসটি ক্ষতিপূরণের টাকা পাচ্ছে না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement