অর্ণব আইচ: উত্তর ও মধ্য কলকাতায় হয়েছে করোনার সংক্রমণ। তাই সেখানকার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে রেড জোন। ডিউটিরত পুলিশকর্মীদের উৎসাহ জোগাতে বৃহস্পতিবার উত্তর ও মধ্য কলকাতা পরিদর্শন করলেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। পুলিশ জানিয়েছে, এদিন তিনি উত্তর কলকাতার কাশীপুর থেকে শুরু করে শ্যামবাজার, শ্যামপুকুর, বেলগাছিয়া, মধ্য কলকাতার পোস্তা, নারকেলডাঙার বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেন। প্রত্যেকটি জায়গায় এলাকার বাসিন্দারা লকডাউন মানছেন কি না, তা তিনি খতিয়ে দেখেন।
সেই ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকাও খতিয়ে দেখেন তিনি। পুলিশ কমিশনার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ডিউটিরত পুলিশ অফিসার ও পুলিশকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না, সেই বিষয়ে খোঁজখবর নেন। রাস্তায় দাঁড়িয়েই তাঁদের বিভিন্ন নির্দেশ দেন। তাঁরা লকডাউন কীভাবে বজায় রাখছেন, সেই বিষয়েও অফিসারদের জিজ্ঞাসা করেন। লকডাউনের সময় যাতে কেউ বাইরে বের হতে না পারেন, সেদিকে সারাক্ষণ নজর রয়েছে পুলিশের। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিশ কমিশনার জানান, পুলিশ অফিসার ও পুলিশকর্মীরা লকডাউন ও পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছেন। তাঁদের এই কাজকে পুলিশ কমিশনার কুর্নিশ জানান।
পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, লকডাউনে যাতে দুস্থদের খাবারের অভাব না হয়, সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই গুরুত্ব দিয়েছে প্রত্যেকটি থানার পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে ত্রাণ। নিউ আলিপুর থানার পক্ষ থেকে তিনটি ওয়ার্ডের ১১টি বসতি অঞ্চলে প্রত্যেকদিন এক হাজার প্যাকেট খাবার দেওয়া হচ্ছে। তবে এদিন ত্রাণের ক্ষেত্রে অভিনবত্ব দেখাল ট্রাফিক পুলিশ। শহরের কয়েকটি জায়গায় আলাদা আলাদা টেবিলে রাখা ছিল চাল, ডাল, আলু ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের প্যাকেট। এলাকার বাসিন্দারা পর পর এসে একেকটি টেবিল থেকে একেকটি প্যাকেট তুলে নেন। যে ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা রাস্তায় যান চলাচল সামলান, এদিন তাঁরাই ত্রাণ নিতে আসা মানুষদের দু’হাত জোড় করে প্রণাম জানান। বিভিন্ন জায়গায় শিশুদের হাতে ঠান্ডা পানীয়, বিস্কুট তুলে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.