Advertisement
Advertisement
Kasba DI Office Agitation

হিংসাত্মক ঘটনা কাম্য নয়, আহত ৬ পুলিশকর্মীও, কসবায় লাঠিচার্জের ঘটনায় দাবি মুখ্যসচিব ও নগরপালের

কসবায় লাঠিচার্জের ঘটনায় চলছে তদন্ত।

CP and CS gives clarification over Kasba DI Office Agitation
Published by: Sayani Sen
  • Posted:April 9, 2025 5:31 pm
  • Updated:April 9, 2025 5:35 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাকরিহারা শিক্ষকদের ডিআই অফিস অভিযান ঘিরে কসবায় ধুন্ধুমার। লাঠি, লাথি, মার, ঘুসি খেতে হয়েছে চাকরিহারাদের। পুলিশের আচরণে উঠেছে নিন্দার ঝড়। ঠিক কী কারণে কসবায় লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটল, বুধবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে সে কারণ স্পষ্ট করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং নগরপাল।

মুখ্যসচিব বলেন, “গত ৭ তারিখ চাকরিহারা শিক্ষকদের নিয়ে নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রী সভা করেন। তাঁদের আশ্বাস দেওয়া হয় শিক্ষক শিক্ষিকাদের পাশে আছে সরকার। সমাধান খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। কীভাবে সমস্যা সমাধান করা যায় তা স্থির করতে লিগাল সেলের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। তা সত্ত্বেও আজ কিছু জায়গায় অবাঞ্ছিত কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। হয়তো কারও মদতে হচ্ছে। কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের অভিনন্দন। আমরা সকলকে পুনর্বাসন, ভরসা দিতে চাইছি। সরকার পাশে আছে। চাকরিহারাদের কষ্ট, দুঃখে আমরা সমব্যথী। সকলের পাশে থাকতে যা পদক্ষেপ করা উচিত তা হচ্ছে।” চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি মুখ্যসচিবের আর্জি, “এমন কোনও পদক্ষেপ করবেন না যাতে আমাদেরও পালটা কিছু করতে হয়। শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখুন। পারস্পরিক বিশ্বাস, ভরসা রাখতে হবে। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, পুলিশকর্মীদের উপর হামলা হয়েছে। পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে যাওয়ার বাধ্য হয়ে কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবে তা বাঞ্ছনীয় নয়।”

Advertisement

কসবায় পুলিশ লাঠিচার্জ যে করেছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বার্মা। তিনি বলেন, “কসবার ডিআই অফিসে হামলায় ৬ জন জখম। তাঁদের মধ্যে ১ জন হাসপাতালে। পুলিশ বাধ্য হয়ে অ্যাকশন নিয়েছে।” তবে চাকরিহারাদের মারধরের যে ছবি, ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে তা আংশিক সত্য বলেই দাবি নগরপালের। তিনি জানান, এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে ডিসিপির কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকের শেষে মুখ্যসচিব এদিন আরও বলেন, “যদি কোনও অভাব অভিযোগ থাকে, তাহলে নির্দিষ্ট জায়গায় জানাতে হবে। নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া ঠিক নয়।”

উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল, সুপ্রিম কোর্টের এক আঁচড়ে চাকরি হারান প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরা। তারপর থেকেই রাজ্যজুড়ে হাহাকার। এই পরিস্থিতিতে চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। গত ৭ এপ্রিল, নেতাজি ইন্ডোরে চাকরিহারাদের সমাবেশে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। নতুন করে নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত চাকরিহারা শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের স্বেচ্ছাশ্রম দেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ডিআই অফিস অভিযানের সিদ্ধান্ত নেন চাকরিহারারা। আর তা ঘিরেই উত্তেজনা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement