নিরুফা খাতুন: লকডাউনে হাসপাতাল ও সেফ হোমে (Safe Home) করোনা রোগীদের খাবার মোটের ওপর ভালই ছিল। এমনটাই দাবি রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের অধীনে থাকা ফুড সেফটি সেলের। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি এমন সেফ হোম বা হাসপাতালের সংখ্যা খুবই কম বলেই খবর।
কোভিড (COVID-19) আবহেও খাবারের গুণমান যাচাইয়ের পরীক্ষা অব্যাহত রয়েছে। গত বছর মার্চে কড়া লকডাউন (Lockdown) চলাকালীন হোটেল, রেস্তরাঁর পাশাপাশি হাসপাতাল, সেফ হোমের কিচেনগুলোতেও হানা দিয়েছিলেন ফুড সেফটি আধিকারিকরা। হাসপাতাল ও সেফ হোমে থাকা করোনা রোগীদের পথ্যে ভেজাল মেশানো হচ্ছে কি না তা যাচাই করেতে এই অভিযান চালানো হয়েছিল। এ বছরও করোনার বাড়বাড়ন্তর সময় অভিযান চালিয়েছিল দপ্তর।
রাজ্য ফুড সেফটি কমিশন সূত্রে খবর, গত বছর লকডাউনে এবং এ বছর কড়া বিধিনিষেধ চলাকালীন পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ১৬০০ হাসপাতাল ও সেফ হোমে অভিযান চালানো হয়েছিল। সেখানে করোনা রোগীদের দেওয়া খাবারের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়েছিল। খাবারের গুণমান পরীক্ষায় অধিকাংশ হাসপাতাল এবং সেফ হোম পাস করেছিল। যারা মান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি তাদের সংখ্যা খুবই নগণ্য।
রাজ্য ফুড সেফটি কমিশনের এক আধিকারিক জানান, প্রতিটি হাসপাতাল, সেফ হোমে একাধিকবার অভিযান চালানো হয়েছিল। যারা পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি তাদের সতর্ক করা হয়েছিল। সচেতন করার পর তারা খাবারের মান উন্নত করেছিল। এদিকে উন্নত ল্যাব না থাকায় খাবারের গুণমান পরীক্ষার কাজ শম্বুক গতিতে চলছে। দপ্তরেও পর্যাপ্ত লোকবলও নেই। খাবারের গুণমান পরীক্ষার জন্য রাজ্য সরকারের ল্যাব রয়েছে একটি মাত্র। এছাড়া কলকাতা পুরসভার নিজস্ব একটি ল্যাব রয়েছে। এই পরীক্ষাগারে উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। এছাড়া রয়েছে একটি ভ্রাম্যমাণ ল্যাব। গুণমান যাচায়ের জন্য রাজ্য ফুড সেফটি দপ্তর আরও একটি ভ্রাম্যমাণ ল্যাব নিয়ে আসছে। এটিও কলকাতা পুরসভার হাতে তুলে দেওয়ার কথা রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.