রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুক্রবার জানিয়েছিলেন করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের কথা। তারপর যদিও আর কোনও ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে (Locket Chatterjee) তড়িঘড়ি ভরতি করা হয় কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে আইসিইউতে রেখে রাতভর চিকিৎসাও করা হয় তাঁর। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। তবে আপাতত বেসরকারি হাসপাতালেই ভরতি থাকতে হবে তাঁকে। কিন্তু শনিবারই বিজেপি নেত্রীকে আইসিইউ থেকে সরিয়ে কেবিনে নিয়ে যাওয়ার কথা।
কয়েকদিন ধরেই জ্বর ও সর্দি-সহ একাধিক উপসর্গ ছিল লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। করোনা শরীরে বাসা বাঁধেনি তো, সেই সন্দেহ মনের কোণে উঁকি দিয়েছিল। সে কারণেই নিজেকে গৃহবন্দি করে ফেলেছিলেন সাংসদ। ছিলেন হোম আইসোলেশনে। পাশাপাশি, নমুনাও পাঠানো হয়েছিল পরীক্ষার জন্য। শুক্রবার সেই রিপোর্ট আসতেই জানা যায়, তিনি করোনা আক্রান্ত। সেদিনই দুপুরে টুইটে বিজেপি নেত্রী জানিয়েছিলেন, “আমার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তবে সব ঠিক রয়েছে। সময় মতো সব জানাব।” রাজনৈতিক মহল মনে করছে, লকডাউনের মাঝে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় অযথা জমায়েতে নিষেধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে সেকথায় কর্ণপাত করেননি বিজেপি সাংসদ। পরিবর্তে একাধিত ইস্যুতে দফায় দফায় রাস্তায় নেমেছেন তিনি। লাগাতার আন্দোলন-বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। অনেকেই মনে করছেন, দূরত্ববিধি না মেনেই এমন কাণ্ড ঘটালেন তিনি।
সদর দপ্তরের উলটো দিকের গলিতে করোনা হানার পর থেকে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তার উপর আবার বিজেপি সূত্রে খবর, দলের অনেকেই ভুগছেন জ্বর, সর্দি, কাশিতেও। সেই আশঙ্কার মাঝেই আবার বিজেপি সাংসদের শরীরে থাবা বসিয়েছে করোনা।সব মিলিয়ে রাজ্য বিজেপির অন্দরে আতঙ্কের গ্রাফ যে বেশ উর্ধ্বমুখী, তা বলাই যায়। তাই ঝুঁকি না নিয়েই দলের পরামর্শমতো শুক্রবারই তিনি ভরতি হন হাসপাতালে। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা হয় তাঁর। রাতভর চিকিৎসা চলে। তবে বর্তমানে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। শনিবারই আইসিইউ থেকে কেবিনে সরিয়ে দেওয়ার কথা লকেট চট্টোপাধ্যায়কে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.