Advertisement
Advertisement
প্লাজমা থেরাপি

প্লাজমা দিচ্ছেন করোনা জয়ী হাবড়ার তরুণী, আগামী সপ্তাহেই পরীক্ষা শুরু বাংলায়

২৩ এপ্রিল ফোনে যোগাযোগ করা হয় মনামী বিশ্বাসের সঙ্গে।

COVID-19: First Corona Survivor of Bengal agrees to give plasma
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:April 25, 2020 5:29 pm
  • Updated:April 25, 2020 5:29 pm  

গৌতম ব্রহ্ম: করোনা মোকাবিলায় কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছে প্লাজমা থেরাপি। পথ দেখিয়েছিল কেরল। সেই পথে হেঁটে করোনা আক্রান্তদের শরীরে প্লাজমা থেরাপি করে প্রাথমিকভাবে ইতিবাচক ইঙ্গিত পেয়েছে দিল্লি সরকার। এবার একই পথে হাঁটছে বাংলাও। আগামী সপ্তাহ থেকেই এই সংক্রান্ত পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই পরীক্ষা করবে CSIR-IICB।

কিন্তু এই প্লাজমা থেরাপির জন্য সাহায্যে হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসবে? জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রথম করোনামুক্ত হাবড়ার তরুণী মনামী বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন রাজ্যের স্বাস্থদপ্তরের কর্তারা। জানা গিয়েছে, ২৩ এপ্রিল ফোনে যোগাযোগ করা হয় মনামী বিশ্বাসের সঙ্গে। সেইদিন নিজের জন্মদিন পালন করছিলেন ওই তরুণী। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. যোগীরাজই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই তরুণীই নিজের প্লাজমা দেবেন রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সাধ্যের মধ্যে এবার COVID-19 টেস্ট কিট, মুশকিল আসান করল আইআইটি-দিল্লি]

প্রসঙ্গত এপ্রিলের শুরুতে স্কটল্যান্ড থেকে কলকাতায় ফেরেন তিনি। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজনেস ম্যানেজমেন্টের পড়ুয়া তিনি। গলা ব্যথা হওয়ায় নিজে থেকেই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভরতি হন। সেখানে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। করোনা যুদ্ধে জয়ী হন তিনি। উল্লেখ্য, প্লাজমা থেরাপি অবশ্য অনেক রোগেই ব্যবহার হয়। মূল নীতি হল, যদি কেউ কোনও রোগ থেকে সুস্থ হয়, তাহলে তাঁর রক্তে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। সেই অ্যান্টিবডি যুক্ত প্লাজমা আক্রান্ত মানুষের শরীরে প্রবেশ করিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ভাইরাসকে মেরে ফেলা। এনআরএস ও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের হেমাটোলজি বিভাগে রক্তের অনেক জটিল রোগের চিকিৎসা হয়। এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ‘ট্রায়াল’ চালানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যোগাযোগ করা হয়েছে আইসিএমআরের সঙ্গে।

স্কটল্যান্ডে বিজনেস ম্যানেজমেন্ট পাঠরত ছাত্রীটি জানিয়ে দিয়েছেন, করোনা চিকিৎসায় তাঁর কোনও ভূমিকা থাকলে তিনি তা অবশ্যই পালন করবেন। দরকার হলে প্লাজমা থেরাপির জন্য দেবেন রক্ত। রক্তদানে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন করোনা যুদ্ধ জয় করে ফেরা আরও বেশ কয়েকজন। তাঁদের বক্তব্য, শারীরিক কোনও সমস্যা না হলে তাঁরা রক্তদানে প্রস্তুত।

[আরও পড়ুন: বাংলায় কোয়ারেন্টাইনে থাকা জামাতিদের দেখভালের দায়িত্বে জামাতিরাই]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement