স্টাফ রিপোর্টার: দেড় কিলোগ্রাম ওজনের যন্ত্র ছড়াবে মেঘ। যে মেঘের ফাঁদে ধরা পরবে করোনা ভাইরাস (Coronavirus)! যন্ত্রটির পোশাকি নাম ‘স্কালিন হাইপার চার্জ করোনা ক্যানন’ সংক্ষেপে ‘সাইকোক্যান’। নির্মাণকারী সংস্থার দাবি, এক কোভিড রোগী থেকে অন্যের দেহে হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ানো আটকাবে এই যন্ত্র। বেঙ্গালুরুর অর্গানাইজেশন ডে স্কালিনের বিজ্ঞানী ডা. রাজা বিজয় কুমারের আবিষ্কার ইতিমধ্যেই পা রেখেছে তিলোত্তমায়।
শিশুমঙ্গল হাসপাতালে বসানো হয়েছে এই ‘সাইকোক্যান’ (Shycocan)। পরবর্তী ধাপে তা বসানো হচ্ছে মেডিকা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এবং অ্যাপোলোয়। জানা গিয়েছে, একটি যন্ত্র ১০০০ ঘনমিটার এলাকা জুড়ে কাজ করতে পারে। কীভাবে কাজ করে এটি? সংস্থার দাবি, যন্ত্রটি প্লাগে দিয়ে সুইচ অন করার পর এর ভিতর থেকে ইলেকট্রন ক্লাউড বের হতে থাকবে। পুরো প্রক্রিয়া শুরু হতে মিনিট পনেরো সময় লাগবে। কোভিড রোগীর ড্রপলেট থেকে বেরনো করোনা ভাইরাসের স্পাইককে নষ্ট করে দেবে এই ইলেকট্রন ক্লাউড। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইতিমধ্যেই এই যন্ত্রকে ছাড়পত্র দিয়েছে। যার দাম মাত্র ১৯ হাজার ৯৯৯ টাকা।
জানা গিয়েছে, বেসরকারি সংস্থা মেডউইন হেলথ কেয়ার এই যন্ত্র তৈরির দায়িত্বে। সংস্থার সিইও দেবাশিস বোস জানান, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতালেও ধাপে ধাপে বসানো হবে এই যন্ত্র। যন্ত্রের কার্যকারিতা পছন্দ হয়েছে স্বাস্থ্যকর্তাদের। এই যন্ত্র চালাতে বিদ্যুৎ খরচ নামমাত্র। একটা সিএফএল বাল্ব জ্বলার মতো বিদ্যুতের খরচ হবে দিনভর চালালে।নির্মাণকারী সংস্থার দাবি, ড্রামের মতো দেখতে ওই যন্ত্রের থেকে নিঃসৃত ইলেকট্রন ও ফোটন কণা রোগীর হাঁচি, কাশি বা কথা বলার মাধ্যমে নির্গত লালারসে থাকা করোনার জীবাণুকে নষ্ট করবে। তাঁদের আরও দাবি, এই যন্ত্র কাছাকাছি থাকলে মাস্ক বা পিপিই না পরলেও ভয় থাকবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.