ফাইল ছবি।
গোবিন্দ রায়: আর জি কর আর্থিক দুর্নীতি মামলায় হাই কোর্টে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। “ইডি চার্জশিট দেয় না, বিচারপ্রক্রিয়াও শুরু করে না”, মন্তব্য করলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের ডেপুটি সুপার আখতার আলির দায়ের করা মামলায় এভাবেই ইডিকে ভর্ৎসনা করলেন তিনি।
আর জি কর কাণ্ডের সময় সন্দীপের বিরুদ্ধে দেদার দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ইডির তদন্ত চেয়ে মামলা দায়ের করেন আর জি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। যার ভিত্তিতে সিবিআইয়ের পাশাপাশি ইডিও তদন্ত শুরু করে। নিউটাউনে সন্দীপ ঘোষের পৈতৃক ভিটে, টালায় চন্দন লৌহের বাড়ি এবং কালিন্দীর একটি ওষুধের দোকান-সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালান ইডির আধিকারিকরা। কিন্তু কোনও চার্জশিট দেয়নি কেন্দ্রীয় সংস্থা। এ নিয়ে মঙ্গলবার ইডির তদন্তে ‘বিরক্তি প্রকাশ’ করেন বিচারপতি ঘোষ।
এদিকে, আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ২৯ নভেম্বর আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। আগামী ৩০ জানুয়ারি আলিপুর আদালতে পরবর্তী শুনানি। সেই শুনানির এক সপ্তাহের মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করার চেষ্টা করতে হবে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতকে, এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট।
আর জি কর কাণ্ড সামনে আসার পর থেকেই হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠতে থাকে। আর্থিক দুর্নীতির মামলা দায়ের হলে গ্রেপ্তার হন প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও তাঁর সঙ্গীরা। তাছাড়া ধর্ষণকাণ্ডে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগেও তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। কিন্তু চার্জশিট দিতে না পারায় জামিন পান সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। তবে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় এখনও জেলবন্দিই রয়েছেন সন্দীপ। বাকি অভিযুক্ত বিপ্লব সিংহ, আফসার আলি, সুমন হাজরা ও আশিস পাণ্ডেও রয়েছেন গারদে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.