কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার দম্পতির নিথর দেহ৷ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে স্বামীর দেহ৷ বিছানার উপরেই পড়েছিলেন তাঁর স্ত্রী৷ ঘর থেকে মিলেছে সুইসাইড নোট৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন দু’জনে৷ কিন্তু কী কারণে এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা৷
সল্টলেকের শান্তিনগরের এক বহুতলে ছেলেকে নিয়ে বসবাস রঞ্জিতা এবং মমতা দাস নামে ওই দম্পতির৷ সোমবার বেলা গড়িয়ে গেলেও ফ্ল্যাট থেকে বেরোতে দেখা যায়নি তাঁদের৷ তবে তা নিয়ে প্রথমে বিশেষ মাথা ঘামাননি প্রতিবেশীরা৷ একটু বেলার দিকে ওই দম্পতির ছেলে অন্যান্য আবাসিকদের বলেন তাঁর বাবা-মা মারা গিয়েছেন৷ ছেলের মুখে এই কথা শুনে তড়িঘড়ি দাস দম্পতির ফ্ল্যাটে ছুটে যান প্রতিবেশীরা৷ ভিতরে ঢুকে রীতিমতো আঁতকে ওঠেন তাঁরা৷ প্রতিবেশীরা দেখেন, ঘরের মধ্যে সিলিং থেকে ঝুলছে স্বামী রঞ্জিতের দেহ৷ ওই একই ঘরে বিছানার উপরে পড়ে রয়েছে স্ত্রী মমতার দেহ৷ তড়িঘড়ি বাগুইআটি থানায় খবর দেন প্রতিবেশীরা৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দু’জনের দেহ উদ্ধার করে৷ ময়নাতদন্তের জন্য দেহ দুটি বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে৷ ওই সুইসাইড নোটে দম্পতি তাঁর ফ্ল্যাটের মালিকানা এবং ছেলের কথা লিখে গিয়েছেন৷ রঞ্জিত ও মমতার পুত্রসন্তান মানসিক ভারসাম্যহীন৷ ছেলেকে সম্পত্তির ভাগ না দিয়ে ফ্ল্যাটটি তাঁর দুই মেয়ের নামে দিয়ে গিয়েছেন দাস দম্পতি৷ অনেকেরই দাবি, ছেলের অসুস্থতার জেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন রঞ্জিত এবং মমতা৷ তার জেরেই হয়তো আত্মঘাতী হয়েছেন দু’জনে৷ ছেলেকে সম্পত্তির ভাগ না দিয়ে কেন দুই মেয়েকে নিজেদের শেষ সম্বল লিখে দিয়ে গেলেন তাঁরা, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, স্ত্রীকে খুন করেই হয়তো গলায় দড়ি আত্মঘাতী হয়েছেন রঞ্জন৷ যদিও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারছেন না তদন্তকারীরা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.