Advertisement
Advertisement
পুরভোট

মহামারী আইনের ফাঁদে আটকে ভোটের ভবিষ্যৎ, কবে হবে কলকাতার পুর-নির্বাচন?

কী জানাল নির্বাচন কমিশন?

Corporation election in West Bengal postponded due to pandemic act
Published by: Paramita Paul
  • Posted:June 7, 2020 9:11 pm
  • Updated:June 7, 2020 9:17 pm  

শুভঙ্কর বসু: মহামারী আইনেই আটকে রাজ্যের পুর ভোট ভবিষ্যৎ। ফলে লকডাউন শিথিল হয়ে জনজীবন কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ঠিক কবে নাগাদ নির্বাচন সম্ভব হবে তা এখনই হলফ করে বলতে পারছেন না রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। বিশেষত যতদিন মহামারী আইন চালু থাকবে আইনি বিধিনিষেধের কারণে ততদিন কোনওভাবেই ভোট করা সম্ভব নয় বলে দাবি তাঁদের। তাছাড়া এই আইন কার্যকর অবস্থায় ভোট হওয়ার নজিরও দেশে নেই। ফলে করোনা ভীতি পুরোপুরি না কাটলে ভোট করানো যাবে না ধরেই এগোচ্ছে কমিশন। যদিও পুর ভোটের প্রস্তুতিপর্ব জারি রয়েছে বলে খবর।

করোনা হানা দেওয়ার আগেই কলকাতা ও হাওড়ার মত বড় পুরসভাগুলি মিলিয়ে রাজ্যের মোট ১১০টি পুরসভার চূড়ান্ত আসন পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। ভোট আয়োজন নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কয়েক প্রস্থ আলোচনাও হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গেও পৃথক পৃথক বৈঠক করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। পাশাপাশি ভোটের জন্য প্রয়োজনীয় ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট ও মজুত রয়েছে কমিশনের কাছে। সবমিলিয়ে ভোট করাতে প্রস্তুতির কোনও খামতি নেই।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নিয়ম ভেঙে জমায়েত করে ছত্রাককে ‘করোনা দেবতা’ রূপে পুজো! চাঞ্চল্য রানিগঞ্জে]

সূত্রের খবর, পরবর্তীতে মহামারী আইন শিথিল হলে রাজ্য সরকারের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠকে বসতে চায় কমিশন। তারপর সর্বদল বৈঠক করে ভোটের ব্যাপারে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে তারা। কারণ ভোটের সঙ্গে সব সময়ই জনসমাগমের ব্যাপার জড়িত থাকে। প্রচারপর্বে রাজনৈতিক দলগুলি জমায়েত, জনসভা মিটিং-মিছিল না করতে পারলে ভোটের উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়। আর করোনার ভীতি যতক্ষণ থাকছে ততক্ষণ সেসব সম্ভব নয়। ফলে ভোটের দিনক্ষণ ঠিক করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলির মতামত জরুরী।

[আরও পড়ুন: রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃৃষ্টি, মেদিনীপুরে বাজ পড়ে মৃত ২]

এ প্রসঙ্গে কমিশনের এক কর্তা বলেন “ভোট মানেই যে শুধু ভোটাররা ভোট দিতে আসবেন এমনটা নয়। রাজনৈতিক দলগুলি প্রচার না করতে পারলে ভোট হবে না। তাছাড়া মহামারী আইন কার্যকর থাকাকালীন ভোট করানোর বিধিনিষেধও রয়েছে। ফলে সবটাই এখন ওই আইন শিথিল হওয়ার উপর নির্ভর করছে।”
এদিকে, কলকাতা ও হাওড়া-সহ রাজ্যের মোট যে ১১০টি পুরসভায় ভোট হওয়ার কথা তার বেশির ভাগেরই নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। রাজ্য পুর আইন অনুযায়ী আপাতত প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে সেসব পুরসভার কাজকর্ম চলছে। হাতেগোনা যে কয়েকটি পুরসভায় এখনও নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ রয়েছে চলতি মাসেই সেগুলির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement