নব্যেন্দু হাজরা: যেমনটা বড়দিনে বো ব্যারাকে হয়, এখানে হয় ২৫ জানুয়ারি থেকে। চাইনিজ নিউ ইয়ার কার্নিভ্যালে। যে সমস্ত আত্মীয়, বন্ধুবান্ধবরা বাইরে থাকেন, তাঁরা কলকাতায় আসেন। খুব আনন্দ হয়। কিন্তু এবার বেশিরভাগই আসেননি। সোমবার বিকেলে চায়না টাউনের পেই মে চাইনিজ হাইস্কুলের মাঠে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন ইয়াং জিনপিং। তখনও এদিনের অনুষ্ঠান শুরু হয়নি। সাজানো চলছে মাঠ। চিনা এই ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে তার ব্যবস্থাপনা করছেন। ব্যবসা আছে কলকাতাতেই।
কথা প্রসঙ্গে বলেন, “করোনা বলে একটা ভাইরাস ছড়িয়েছে শুনেছি। একটা অসুখের ভাইরাস। জ্বর, সর্দি, কাশি, আরও কী সব হচ্ছে। কেউ নাকি বাঁচছে না। টিভিতে দেখছি। বাইরে থেকে কেউ এলেই তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হচ্ছে। এসব দেখেও কেউ আর ঝুঁকি নিয়ে আসেনি মনে হয়।” শনিবার থেকে চায়না টাউনের এই স্কুলের মাঠে শুরু হয়েছে চাইনিজ নিউ ইয়ার কার্নিভ্যাল। প্রতিবারই হয়। এবারও হচ্ছে। দু’দিনের মূল পরবটা। আর বাকি দু’দিন আনন্দ ,উৎসব, অনুষ্ঠান। তারই প্রস্তুতি দেখা গেল সোমবার বিকেলে। বসেছে প্রচুর দোকানও। এই এলাকার সবাই আসেন অনুষ্ঠান দেখতে। কিন্তু সেই উৎসবের মাঝেই করোনা আতঙ্ক যেন চায়না টাউনেও ভর করেছে। একের পর এক চাইনিজ রেস্তরাঁ গোটা চত্বরে। প্রতি সন্ধেতেই তাতে ভিড় গুঁতো মারে। তবে আচমকাই নয়া ভাইরাসের আতঙ্ক যেন ঘুরে ফিরে আসছে খাবারের টেবিলে। কিছুটা বিরক্ত রেস্তরাঁর মালিকরাও।
সান ইয়াং হোং–এর কথায়, “আমরা দুই পুরুষ ধরে এখানে আছি। চিনে আমাদের কেউ থাকে না। কোনও যোগাযোগ নেই। তবু কেন জানি না লোকে ভাবছে চিনারাই এই ভাইরাস আমদানি করেছে।” প্রায় হাজার বাসিন্দার বাস। কয়েক পুরুষ ধরে রয়েছেন কেউ কেউ। কারও ছেলেমেয়ে বিদেশে থাকেন পড়াশোনার জন্য। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আসেন। তার মধ্যে এদিনের চাইনিজ নিউ ইয়ার কার্নিভ্যালে। এটাই এখানকার মূ্ল অনুষ্ঠান। কিন্তু দিনকয়েক ধরে চলা টানা করোনা আতঙ্ক তাতেও বসিয়েছে থাবা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.