Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা ভাইরাস

N95 মাস্কের দেদার কালোবাজারি, কলেজ স্ট্রিট-বড়বাজারে হানা ইবি আধিকারিকদের

কলকাতার বাজার থেকে প্রায় উধাও মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার।

Coronavirus scare: Masks go off the shelves, ED raids Kolkata market
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:March 7, 2020 3:38 pm
  • Updated:March 7, 2020 3:38 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়াতেই কলকাতার মেডিক্যাল সরঞ্জামের বাজারে শুরু হয়েছে কালোবাজারি। ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ব্যবহৃত বিশেষ মাস্ক বা N95 মাস্ক বাজার থেকে প্রায় উধাও। মিলছে না হ্যান্ড স্যানিটাইজারও। কিছু কিছু জায়গায় অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে N95 মাস্ক। যা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এবার মেডিক্যাল সরঞ্জামের কালোবাজারি রুখতে মাঠে নেমেছেন এনফোর্সমেন্ট আধিকারিকরা (Enforcement Branch)। শনিবার শিয়ালদহ, কলেজ স্ট্রিট, বড়বাজার-সহ একাধিক জায়গায় হানা দেন ইবি আধিকারিকরা।

এদিন কলেজ স্ট্রিটের একাধিক ওষুধের দোকান, মেডিক্যাল সরঞ্জামের পাইকারি বাজার, বড়বাজারের মেহতা বিল্ডিংয়ে হানা দেন আধিকারিকরা। অভিযোগ, করোনা আতঙ্ক ছড়াতেই বাজারে প্রায় অমিল মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার। শুক্রবারই নবান্নে বৈঠকের পর কলকাতা পুলিশ ও ইবিকে মেডিক্যাল সরঞ্জামের কালোবাজারি রুখতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই তৎপর হয়েছে পুলিশ ও ইবি। কলেজ স্ট্রিট ও বড়বাজারে একাধিক দোকানে আকাশছোঁয়া দামে বিক্রি হচ্ছে N95 মাস্ক, এমনই অভিযোগ উঠেছে। ৫০-৬০ টাকার মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। কিছু জায়গায় মাস্কের জন্য লম্বা লাইন পড়েছে গ্রাহকদের। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, মাস্কের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সরবরাহ কমে গিয়েছে। যার জেরে কালোবাজারি শুরু হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘চুমু খাবেন না’, করোনা সচেতনতায় নির্দেশিকা কলকাতা মেট্রোর]

এদিক, করোনা নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকে রয়েছেন মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ-সহ স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা। শহরে করোনা আতঙ্ক থেকে নাগরিকদের সচেতন করা এবং সংক্রমণ এড়াতে যাবতীয় ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে। উল্লেখ্য, শুক্রবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ে করোনা মোকাবিলায় জোর দিয়েছেন। তিনি জানান যে, মারণ রোগের প্রভাবে চিন থেকে ওষুধ সরঞ্জাম আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। তার জন্য দেশবাসীর প্রয়োজনীয় ওষুধের ভাঁড়ারে যাতে টান না পড়ে, তার ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রের কাছে আরজি জানিয়ে চিঠি লিখবেন তিনি নিজে। প্রায় চিকিৎসকদের মতো করেই এদিন সাবধানতার জন্য বেশ কয়েকটি জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ মমতার। বললেন, “মাস্ক না পেলেও কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে পথে যাতায়াত করা জরুরি।”

[আরও পড়ুন: করোনার থাবা দোলের বাজারেও, তলানিতে ঠেকেছে চিনা সামগ্রী বিক্রি]

ছবি: অরিজিৎ সাহা

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement