Advertisement
Advertisement
করোনা ভাইরাস

খাস কলকাতায় করোনা ভাইরাসের থাবা! আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যাদবপুরের বৃদ্ধ

আতঙ্কের কোনও কারণ নেই, বলছেন চিকিৎসকরা।

Coronavirus scare at Kolkata as patient admited with infection
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:February 8, 2020 9:02 pm
  • Updated:February 8, 2020 9:12 pm  

অভিরূপ দাস: এতদিন আশঙ্কা ছিল। এবার আতঙ্ক ঘরের দরজায়। মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে শহরে ঢুকে পরেছে মারণ ভাইরাস। দক্ষিণ শহরতলীর মুকুন্দপুরের আরএনটেগোর হাসপাতালে ভর্তি প্রৌঢ়। তারই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ। রেসপিরেটরি প্যানেল টেস্টে তাঁর শরীরে মিলল করোনা ভাইরাস!
ঘটনা চাউর হতেই চারিদিকে আতঙ্কের ছবি। হাসপাতালে উপস্থিত অন্যান্য রোগীর পরিবারের লোকেরাও আতঙ্কিত। আমাদের কিছু হবে না তো। অনেকেই হাসপাতাল থেকে প্রিয়জনকে ছাড়িয়ে নিয়ে চলে যেতে চাইছেন। যদি করোনা ঢুকে পড়ে শরীরে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রৌঢ়ের বাড়ি যাদবপুরের পোদ্দার নগর এলাকায়। ফুসফুসের সংক্রমণ ছাড়াও একাধিক অসুখে ভুগছেন তিনি। শেষ পাওয়া খবরে তাঁর শারীরিক অবস্থা সঙ্গীন। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওই ব্যক্তি। প্রৌঢ়ের শরীরে করোনা ভাইরাসের খবরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে যাদবপুরে তাঁর বাড়ির এলাকাতেও। এদিকে ক্রমশ বাড়তে থাকা আতঙ্ক ঠেকাতে এগিয়ে এসেছে হাসপাতাল। আরএনটেগোরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অযথা আতঙ্কিত হবেন না। এর সঙ্গে চীনের ইউহান স্ট্রেইন করোনা ভাইরাসের কোনও সম্পর্কই নেই। এইচসিওভি-২২৯ই, এইচসিওভিএনএল৬৩ অথবা এইচসিওভি এইচকেইউ১ জাতীয় করোনা ভাইরাস অন্তত সাধারণ। এমনই এক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ওই ব্যক্তি। ওই হাসপাতালেরই চিকিৎসক বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. অরিন্দম বিশ্বাস জানিয়েছেন, অনেকে ভাবছেন করোনা ভাইরাস মানেই চীনের নোভেল করোনা ভাইরাস। তা ঠিক নয়। এই করোনা ভাইরাসের সঙ্গে নভেল করোনা ভাইরাসের কোনও সম্পর্ক নেই। নোভেল করোনা ভাইরাস এনসিওভি২০১৯ শ্রেণির। দুটো সম্পূর্ণ ভিন্ন। তবে যে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওই ব্যক্তি। ডা. বিশ্বাস জানিয়েছেন, ওই ব্য়ক্তি কিডনির অসুখে আক্রান্ত। বার্ধক্যজনিত সমস্যাও রয়েছে তাঁর। এমতাবস্থায় সাধারণ ভাইরাসকে ঠেকানোর মতো প্রতিরোধ শক্তি তাঁর নেই।

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনা সন্দেহে কলকাতার হাসপাতালে আরও ১, নমুনা পাঠানো হল পরীক্ষার জন্য]

একারণেই সাধারণ করোনা ভাইরাস ঠেকাতে পারছেন না প্রৌঢ়। এই করোনা ভাইরাসকে আর পাঁচটা ভাইরাল অসুখের মতোই বলছেন চিকিৎসকরা। ডা. বিশ্বাসের কথায়, ফুসফুসের সংক্রমণ এক ধরনের করোনা ভাইরাসের আক্রমণেই হয়। ভাইরাল জ্বরেরও কোনও ওষুধ হয় না। কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। এক্ষেত্রেও তাই। বাতাসে এমন সাধারণ করোনা ভাইরাসের জীবাণু ভাসছে। তা ঠেকাতে মাস্ক পড়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। আপাতত আরএনটেগোর হাসপাতালে চিকিৎসক ডা. প্রতিক দাসের অধীনে ভর্তি রয়েছেন ওই প্রোঢ়। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে আইটিইউতে রয়েছেন তিনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement