ব্রতদীপ ভট্টাচার্য: এবার বেলঘরিয়ায় করোনার থাবা। মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন ৫৭ বছরের প্রৌঢ়। আপাতত বেলঘরিয়ার রথতলার জেনিথ বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি তিনি।
সোমবারই আড়িয়াদহের বাসিন্দা ৫৭ বছরের প্রৌঢ়ের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। এদিন নাইসেড থেকে রিপোর্ট এসে পৌঁছনোর পরই দেখা যায় তিনি করোনা পজেটিভ। জানা গিয়েছে, গত ২৩ মার্চ তাঁকে এই হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। স্বাভাবিক জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়েই ভরতি হয়েছিলেন তিনি। হাসপাতালে ভরতি হওয়ার আগে তিনি কাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁর বিদেশ ভ্রমণের কোনও ইতিহাস রয়েছে কি না, তা জানতে তাঁর বাড়িতে হাজির হচ্ছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। তবে একটি সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি বিদেশে কিংবা দেশের অন্য কোনও জায়গাতেই যাননি তিনি।
দেশজুড়ে বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্যের আক্রান্তের উর্ধ্বমুখী গ্রাফও। ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে মোট চারজনের নমুনা পজিটিভ এল। এই প্রৌঢ় ছাড়াও পটিজিভদের একজন টালিগঞ্জের বাসিন্দা। বছর ৫২-এর ওই ব্যক্তি কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একজন সল্টলেকের একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। অপরজন ভরতি মেদিনীপুর মেডিক্যালে। জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন বছর ৩০-এর ওই যুবক গত ২২ মার্চ মুম্বই থেকে ফিরেছেন। এরপরই একাধিক উপসর্গ নিয়ে ভরতি হন হাসপাতালে। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসতেই জানা যায় আক্রান্ত তিনি। সূত্রের খবর, আজই তাঁকে পাঠানো হবে বেলেঘাটা আইডিতে। বেলঘরিয়ার প্রৌঢ় আক্রান্ত হওয়ার পর রাজ্যে এই সংখ্যা বেড়ে ২৭।
এদিকে, করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বালিগঞ্জের অভিজাত পরিবারের আক্রান্ত তরুণের বাবা। সুস্থ হয়ে উঠেছেন হাবড়ার ছাত্রীও। তবে সুস্থ হয়ে ওঠা প্রত্যেককেই ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.