অরিজিত গুপ্ত, হাওড়া: রাজ্যের তৃতীয় করোনা (Corona Virus) আক্রান্তের মৃত্যু যেন আতঙ্ক কয়েকগুণ বাড়িয়েছে। সংক্রমণের ভয় স্যানিটাইজ করা হচ্ছে গোটা হাওড়া জেলা হাসপাতাল। খতিয়ে দেখা হচ্ছে গত দু’দিনের রোগী, তাঁদের পরিবার, চিকিৎসক ও নার্সদের গতিবিধি। সূত্রের খবর, প্রয়োজনে খালি করা হতে পারে গোটা হাসপাতাল।
সোমবার রাতে করোনা আক্রান্ত মৃতার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসার পর থেকে সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে হাওড়া জেলা হাসপাতালের ছবি। সকলের চোখে মুখে আতঙ্ক স্পষ্ট। কী ভবিতব্য হাসপাতালের এত রোগী, তাঁদের পরিবার থেকে চিকিৎসক-নার্সদের। জানা নেই কারও। সংক্রমণের ভয়ে সকাল থেকেই হাসপাতাল স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হবে না বলেই দাবি সকলের। কারণ, গত দু’দিনে সাধারণ ওয়ার্ডেই ছিলেন করোনা আক্রান্ত ওই মহিলা। তাঁকে পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি অন্য রোগীদের পরিষেবা দিয়েছেন নার্স, চিকিৎসকরা। এতে স্বাস্থ্যকর্মী থেকে রোগী দু’জনের সংক্রমণের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর সেই রোগীদের দেখতে হাসপাতালে এসেছেন তাঁদের পরিবার। অর্থাৎ সেখান থেকে সংক্রমিত হতে পারেন তাঁরাও। জানা গিয়েছে, গত দু’দিন হাসপাতালে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়িয়েছেন মৃতার আত্মীয়রা। একাধিক রোগীর পরিবারের সঙ্গে মিশেছেন। হাসপাতাল সংলগ্ন বহু দোকানে ঘুরেছেন।
সূত্রের খবর, সেই কারণেই হাসপাতাল স্যানিটাইজেশনের পাশাপাশি, সোমবার থেকে কারা হাসপাতালে প্রবেশ করেছেন, কারা বেড়িয়েছে। তাঁরা বেড়িয়ে কাদের সঙ্গে মিশেছেন। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে গোটা হাসপাতালকেই পাঠানো হবে কোয়ারেন্টাইনে। খালি করা হতে পারে গোটা হাসপাতাল। তবে আদৌ করোনা আক্রান্ত ছিলেন কি না ওই মহিলা, তা নিশ্চিত হতে আরও একবার ল্যাবে পাঠানো হয়েছে তাঁর নমুনা। যদি সেই রিপোর্টও পসেটিভ হয় সেক্ষেত্রে প্রবল বিপদের আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এবিষয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরেই করোনায় মৃত ওই মহিলার দেহ নিয়ম মেনে প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে কর্পোরেশনের দুই কর্মীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাঁরাই পুরসভার গাড়িতে দেহটি নিয়ে গিয়ে সৎকার করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.